পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুকারাম ՀԵ\ֆ তার পর রাজা প্ৰতাপ রুদ্র যথাসর্বস্ব ত্যাগ করিয়া মহাপ্ৰভু যখন একাকী আলালনাথে প্ৰবেশ করিয়াছিলেন, তখন ভাগবতের শ্লোক উচ্চারণ করিতে করিতে রাজা প্ৰতাপ রুদ্র মহাপ্রভুর চরণে নিপতিত をF l তুকারাম প্ৰথম জীবনে পরিবারবর্গের দুঃখ-কষ্টে অথবা স্ত্রীর অত্যাচারে সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিলেও এখন যে তিনি একেবারে খাটি ত্যাগী মহাপুরুষে পরিণত হইয়াছিলেন, মহারাজা শিবাজী-প্রদত্ত উপহার-প্ৰত্যাখ্যানেই তাহা দেদীপ্যমান। সুন্দরী যুবতী ও তুকারাম তুকারাম ধন ও ঐশ্বৰ্য্যের লোভ পরাজিত করিলেন, এইবার আর একটা মহাপ্রলোভন আসিয়া তাহার সমক্ষে উপস্থিত হইল। একটি অসাধারণ রূপলাবণ্যবতী যুবতী প্রায়ই তুকারামের কীৰ্ত্তনে যোগদান করিত। সেই যুবতী তুকারামের রূপলাবণ্য-দর্শনে তঁহার প্রতি অত্যন্ত আকৃষ্ট হইয়া পড়িয়াছিল। সে প্রতিনিয়ত আপন অসন্দভিপ্ৰায় তুকারামকে জানাইবার জন্য সুযোগ অন্বেষণ করিত। একদিন তুকারামকে নির্জনে পাইয়া সে তুকারামকে আপনি অসন্দভিপ্ৰায় জানাইল। তুকারাম তখন দুই হন্ত উৰ্দ্ধে তুলিয়া ভগবানের নিকট প্রার্থনা করেন এবং সেই যুবতীকে বলেন :- “পরানারী জ্ঞান করি রুক্সিণীর প্রায় । অন্যথা হবে না। ইহা করিয়াছি পণ । তাই বলি জননী গো কেন ক্লেশ পাও । বিষ্ণুর সেবকগণ ব্যভিচারী নয়। সহিতে না পারি হেন হীনতা তোমার। এরূপ কুৎসিত কথা এন না গো মুখে ॥”