পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীযুত সুরেন্দ্রনাথ ভায়া। VONU) দ্বিতীয় শ্ৰীযুক্ত তারাকান্ত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, তৃতীয় ৬/বিজয়গোবিন্দ স্কুলের ডিষ্ট্রিক্ট ইনস্পেকটরী কাৰ্য্য করিতে করিতে অকালে কালগ্ৰাসে পতিত হন ; চতুর্থ সুরেন্দ্রনাথ এবং পঞ্চম উপেন্দ্র মজঃফরপুরে ডাক্তারি করিতেছেন । তাহারা ভাগিনেয়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডাক্তার সুবোধচন্দ্ৰ সেনগুপ্ত কলিকাতা মহানগরীতে প্ৰসিদ্ধ দন্ত-চিকিৎসক এবং তঁাহার পরলোকগত ভ্ৰাতার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ গিরিজাগোবিন্দ কলিকাতা হাইকোটের ব্যারিষ্টার। সুরেন্দ্ৰনাথ শৈশবে বড় রুগ্ন ছিলেন এবং তিনি প্ৰবেশিকা পরীক্ষা দিবার পূর্বে দ্বিতীয় শ্রেণীতে সঙ্কটাপন্ন পীড়ায় শয্যাশায়ী হন। প্ৰবেশিকা পরীক্ষার ৩/৪ মাস পূর্বে দৈনিক ৪ ঘণ্টা পড়িতে পরিবেন—এই সৰ্ত্তে ডাক্তারদের নিকট পরীক্ষায় উপস্থিত হইবার অনুমতি প্ৰাপ্ত হন অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণী ও প্রথম শ্রেণীতে দুই বৎসর শয্যাশায়ী থাকিয়া পরীক্ষার অব্যবহিত পূর্বে পরীক্ষা দিবার অনুমতি প্ৰাপ্ত হন। পরীক্ষায় যশের সহিত উত্তীর্ণ হন। তার পর এফ-এ এবং বি-এ পাশ করিয়া বি-এল উপাধি লইয়া ইংরাজী ১৯০০ সালে ওকালতি ব্যবসায় আরম্ভ করেন। পূর্বেই বলিয়াছি, ১৮৯৪ সালে তাহার পিতৃবিয়োগ হয়। সুতরাং তিনি ওকালতি আরম্ভ করিয়া তাহার পিতার কোনই সাহায্য লাভ করিতে পারেন। নাই। কিন্তু স্বীয় অধ্যবসায় ও নিপুণতায় ওকালতির প্রথম অবস্থাতেই তাহার ক্ষমতার পরিচয় প্ৰদান করেন এবং কালে যে তিনি প্ৰধান স্থান অধিকার করিবেন তাহাতে কাহারও সন্দেহ থাকে না । ওকালতি আরম্ভ করার পরেই তাহাকে বিশেষ কয়েকটী শোক পাইতে হয়। ১৯০৩ সালে তঁহার মাতা দ্রবময়ী গুপ্ত পরলোক গমন করেন। সুরেন্দ্ৰনাথ বড়ই মাতৃভক্ত ছিলেন, তিনি শিক্ষকতা করিবার কালে এবং ওকালতি ব্যবসায় করিতে করিতেও তেঁাহার মাতাকে প্রত্যহ স্বহস্তে রন্ধন করিয়া খাওয়াইতেন। তঁহার মাতা শেষ জীবনে S)