পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wor বংশ-পরিচয় কথিত আছে, ব্ৰহ্মানন্দ পরমহংস দেবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইবার পূর্বে রামকৃষ্ণদেব ভাবাবেশে প্রায়ই দেখিতে পাইতেন যেন মা জগদম্বা একটি ছেলেকে প্রায়ই র্তাহার ক্রোড়ে আনিয়া দিয়া বলিতেন, “এইটি তোর ছেলে।” ব্ৰহ্মানন্দকে প্ৰথম দৰ্শন করিয়াই পরমহংসদেব বুঝিতে পারিলেন যে, যে ছেলেটিকে জগজননী তাহার ক্রোড়ে দিয়াছিলেন, এই ছেলেটিই সেই । তিনি একথা তাহার শিষ্যদিগকে পরে বলিয়াছিলেন, “দেখ যে ছেলেটীকে জগদম্বা আমার কোলে তুলিয়া দিতেন, এই রাখালই সেই ছেলে ।” রাখাল কিছুদিন পরে সংসারাশ্রম পরিবর্জনপূর্বক পরমহংসদেবের শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করেন। ব্ৰহ্মানন্দ যখন প্ৰথম প্ৰথম ঠাকুরের নিকট যাতায়াত করিতেন, তখন তাহার পিতা ও শ্বাশুড়ী যৎপরোনাস্তি অসন্তুষ্ট হইতেন। ক্রমে এই অসন্তোষের ভাব দূরীভূত হয়। এমন কি, ব্ৰহ্মানন্দের শ্বাশুড়ী উৰ্তাহার কন্যাকে পৰ্য্যন্ত ঠাকুরের নিকট লইয়া আসিতে আরম্ভ করেন। পরমহংসদেব অনেক সময় ব্ৰহ্মানন্দকে বলিতেন, “আমি ত অনেক দিন। এখানে আসিয়াছি, তোর আসিতে এত বিলম্ব হইল কেন ?” ব্ৰহ্মানন্দ নতমুখে ঠাকুরের কথা শুনিতেন, কোন জবাব দিতেন না । ব্ৰহ্মানন্দ তখন বালক বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। রামকৃষ্ণ তাই ব্ৰহ্মানন্দকে সম্মুখে রাখিয়া সমাধিস্থ হইতেন। সমাধি-অবস্থায় তিনি ব্ৰহ্মানন্দকে অনেক কথা বলিতেন। তিনি প্ৰায়ই শিষ্যদের বলিতেন, “দেখ রাখালের এখন জ্ঞান ও অজ্ঞান বোধ হইয়াছে, এখন আর উহাকে ভাঙ্গিবার উপায় নাই। আমি বলি কি, রাখাল তুই এখন ঘরে যা, ঘরে গিয়া অবস্থান কর, মাঝে মাঝে এখানে এলেই যথেষ্ট।” কিন্তু ব্ৰহ্মানন্দ ঠাকুরের সব কথায় কান দিলেও একথায় কান দিলেন না। রাখালের স্ত্রীর বয়স ১৪ বৎসর। র্তাহার স্ত্রীকে সঙ্গে করিয়া তাহার শ্বাশুড়ী পৰ্য্যন্ত দক্ষিণেশ্বরে আসিয়া রাখালকে