পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুগাবেড়িয়ার জমিদার-বংশ। & কৱিবে ।” তঁহার এইরূপ আদেশের অল্পকাল পরেই বাঙ্গালা ১২২৮ সালে সেই খগেশ্বর নন্দ মহাশয়ের একটী পুত্র জন্মগ্রহণ করেন। অপরের কথা দূরে থাকুক, তখন সেই খগেশ্বর নন্দ মহাশয়ও বিশ্বাস করিতে পারেন নাই যে, সেই সদ্যোজাত শিশু অল্পকাল পরেই বুদ্ধিমত্তা, তেজস্বিতা ও অধ্যবসায়াদিগুণে অদ্বিতীয় হইবেন। এবং প্ৰভূত অর্থব্যয় ও প্ৰাণপাত পরিশ্রম স্বীকার করতঃ মনুষ্যসাধারণের অগম্য হিংস্ৰজন্তুপরিপূর্ণ নিবিড় অরণ্যময় বিশাল ভূমিখণ্ডকে আবাদযোগ্য করিয়া বৃত্তিহীন সহস্ৰ সহস্ৰ প্ৰজার বংশপরম্পরানিৰ্বাহোপযোগী বৃত্তি ব্যবস্থা করিয়া দিবেন। নামকরণের সময় ইহার নাম রাখা হইয়াছিল শ্ৰীভোলানাথ নন্দ । তাহার পর তাহার দ্বিতীয় পুত্র জন্মগ্রহণ করিলে তাহার নামকরণ হইয়াছিল শ্ৰীভীমচরণ নন্দ। এই পুত্রদ্বয়ের জন্মগ্রহণের অল্পকাল পরেই তঁহার পিতা লোকান্তরিত হন, সুতরাং সন্তান দুইটীকে শিক্ষিত করিবার সুযোগ তাহার আদৌ ঘটে নাই। ইহাদের পৈত্রিক নিষ্কর সম্পত্তি যাহা ছিল তদ্বারা সৎসারিক ব্যয় নিৰ্বাহ হইত মাত্ৰ, উদবুক্ত থাকিত না। কিছুকাল পরে উভয়ে বিবাহিত হইলে কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা ভীমচরণ নন্দ মহাশয় বাঙ্গালা ১২৫৪ সালে জ্যেষ্ঠ ভোলানাথ নন্দ মহাশয় হইতে পৃথক হইয়া যান। তাহার পর ১২৫৬ সালে মাজােনা এষ্টেটের তাৎকালিক মালিক রাজা আনন্দলাল রায় মহোদয়ের নিকট হইতে উক্ত ভোলানাথ নন্দ মহাশয় ৭টীি মৌজায় বহুসংখ্যক হরিণ ও বন্যাশূকর এবং মহিষাদি হিংস্ৰজন্তু-পরিপূর্ণ তিন হাজার বিঘা পতিত জঙ্গলভূমি কেবল সাহসের উপর নির্ভর করিয়া চাষ-আবাদের জন্য বন্দোবস্ত লইয়াছিলেন। সে সময়ে সুদূর মফঃস্বলে আগ্নেয়াস্ত্র ও শিকারীর অত্যন্ত অভাব ছিল । সেই হেতু তাদৃশ নিবিড় জঙ্গলাবৃত ও হিংস্ৰজন্তু-সমাকীর্ণ পূৰ্ব্বোক্ত