পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালি সমাজ YRA নড়াইল জমিদার বাবুদের জয়েণ্ট এষ্টেটে বহু বৎসর যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতার সহিত কাৰ্য্য করেন ও ক্রমশঃ ডেপুটী ম্যানেজারের পদে উন্নীত হন। ইহার কিছুদিন পরে কাশিমবাজারের মহারাজা স্যার মণীন্দ্ৰ চন্দ্ৰ নন্দী বাহাদুরের বিশেষ অনুরোধে ইনি কাশিমবাজার রাজের বাহারবন্দ পরগণার নায়েবী পদ গ্ৰহণ করিয়া তথায় গমন করেন । তাহার কয়েক মাস পরেই মহারাজা বাহাদুর ইহার বুদ্ধিমত্তা ও কাৰ্য্যদক্ষতায় বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়া ইহাকে সদরে দেওয়ানী পদ দিবাবা অভিপ্ৰায়ে সদর সুপারিণ্ডেটেণ্ট করিয়া লইয়া আসেন। দুঃখের বিষয় কাশিমবাজারে আসিবার ২৩ মাস মধ্যেই ইনি নিউমোনিয়া রোগে ‘আক্রান্ত হন ও ১৩০৬ সালের ২রা অগ্রহায়ণ তারিখে সৈন্দাবাদের গঙ্গাতৃতীরে তঁাহার। ইহলীলা শেষ হয়। জমিদারী বিষয় সংক্রান্ত সর্বোৎকৃষ্ট পুস্তক “জমিদারী দর্পণ” শশিশেখরের স্মৃতি চিরস্থায়ী করিয়া রাখিয়াছে। ইনি পুণ্যাত্মা ছিলেন । Y ২৬ ৷ ইন্দুভূষণ ঘোষ (২)-ইনি বনমালীর কনিষ্ঠ পুত্র। জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতা শশিশেখরের ন্যায় ইন্দুভূষণও রীতিমত লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন ও দাদার সঙ্গে একত্রে আইনের পরীক্ষা দিয়াছিলেন। ইনিও বিশেষ বুদ্ধিমান এবং পবোপকারী ও দাতা ছিলেন এবং তখনকার সমাজের অন্যতম নেতা ছিলেন । চোখের অসুখ থাকায় ইনি কখনও সরকারী বা বে-সরকারী চাকুরী করেন নাই। ইহার বুদ্ধিমত্তার জন্য দেশের অনেক সন্ত্রান্ত লোক ইহঁর নিকট অনেক বিষয়ে পরামর্শ লাইতে আসিতেন । ইনি যশোহর শ্ৰীধরপুরের জমিদার দেবেন্দ্ৰ নাথ বসু মহাশয়ের একমাত্ৰ ভাগিনেয়ীকে ( হাজিরালী নিবাসী কৈলাশচন্দ্র রায় মহাশয়ের কন্যা ) বিবাহ করেন । ১২৯৬ সালের শেষভাগে ইনি লিভার য়্যাবসেস রোগে আক্রান্ত হন এবং খুলনা ও যশোহরে বহু চিকিৎসা স্বত্ত্বেও ১২৯৭ সালের ২০শে বৈশাখ তারিখে কুরিগ্রামের বাড়ীতে পরলোক