পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९फुांकांनौद्ध ठांकूव्र यश्* òd সমাধিপ্ৰাপ্ত অবস্থায় দেখা যাইত। এইরূপে কিছুদিন অতীত হইল। একদিন তিনি একাকী জয়নগর অভিমুখে যাইতেছিলেন। পথিমধ্যে এক দিব্য মহাপুরুষের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হইল । উভয়ে এক বটবৃক্ষতলে উপবেশন করিয়া দীর্ঘকাল কথোপকথন করিলেন। শ্ৰীশ্ৰীহরির আর জয়নগর যাওয়া হইল না। তিনি উদাসীন মনে ওড়াকান্দী অভিমুখে ফিরিলেন। আসিতে আসিতে রজনী হইল। এমন সময় আড়ুয়াকান্দী গ্রামে শূন্যপ্ৰান্তরে বকুল-বৃক্ষতলে এক জ্যোতিৰ্ম্ময় শঙ্খ চক্র গদাপদ্ম হস্ত পুরুষ দেখিয়া ভাবে বিভোর হইয়া পড়িলেন। পরদিবস অতি প্ৰত্যুষে গ্রামের লোকে তঁহাকে প্ৰান্তর মধ্যে একাকী দেখিয়া বাটীতে লইয়া আসিলেন। তখন হইতে এক্রমশঃ প্ৰতি কাৰ্য্যে তঁাহার ঈশ্বরত্ব প্ৰকাশ পাইতে লাগিল । পূৰ্বোক্ত রামর্চাদ চৌধুরীর সহিত হরিঠাকুরের বাল্যকাল হইতেই অত্যন্ত সৌহার্দ্য ছিল। একদা তিনি এবং ঠাকুর এক প্ৰান্তরে ভ্রমণে, বাহির হন। সম্মুখে ঠাকুর এবং পশ্চাতে রামর্চাদ যাইতেছিলেন। এমন সময় রামর্চাদ দেখিলেন ঠাকুর যেখানে পা ফেলিতেছেন, সেখানেই একটা করিয়া পদ্ম ফুটিয়া উঠিতেছে। রামর্চাদ বিস্মিত হইলেন। তিনি বুঝিলেন শ্ৰীশ্ৰীহরি মানুষ নহেন। তিনি পূর্ণ ভগবান। পল্লীবাসী জনসাধারণের ইহা জানিতে আর বাকী রহিল না। তাহারা সকলেই শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের ঈশ্বরত্ব হৃদয়ঙ্গম করিল। যে সকল লোক ঠাকুর দর্শন করিতে আসিত তাহারা প্রচুর আহাৰ্য্য, মিষ্টান্ন, নানাবিধ ফল, বস্ত্র, ও অন্যান্য দ্রব্য সঙ্গে আনিত। ঠাকুর বাটীতে আর কিছুরই অভাব রহিল। না। স্ত্রীলোকেরা আসিয়া কেহ রন্ধন করিত, কেহ তরকারি কুটিত, কেহ বা গৃহের আবর্জনা পরিষ্কার কবিতা। ভক্তগণ ঠাকুর বাটীতে আহারাদি করিয়া অহৰ্নিশ কেবল হরি সংকীৰ্ত্তনে মাতিয়া থাকিত। অতি প্ৰত্যুষে ঠাকুর দর্শন ভক্তগণ অতি সৌভাগ্যের মনে করিত।