পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A'r 한 f(5 চত্বরে একখানি জগন্ধাত্রী প্ৰতিমা । সোরগোল হইতেই গৃহস্থ জানিতে পারিল-ব্যাপার কী! কেদারনাথ যথাবিহিত করিবার ভার পিতার উপর দিয়া নিজ কাৰ্য্যে বাহির হইলেন। যাদবকৃষ্ণ দেখিলেন দুই দিনে পূজার ব্যবস্থা করা সম্ভবপর নহে। সিমলার বাজার তখন ছিল তাহাদিগের পুরাতন বাটীর সংলগ্ন। বাজারের মুরুবিদিগকে ডাকাইয়া তিনি তাহার বিপদের কথা বলেন এবং প্ৰস্তাব করেন, “এ পুজা তোমরা বাজারে কর, পুজার জন্য টাকা। যাহা চাহিবে। আমি দিব।” তাহারা এ প্ৰস্তাবে সন্মত হয় এবং বাজারে প্রতিমা লইয়া যায়। ব্যবস্থা সুচারুরূপে করিয়া যাদবকৃষ্ণ বাটীর মধ্যে গমন করিলেন। পুত্রবধু ধরিয়া বসিলেন, “মা আমাদের বাটীতে এসেছেন, ওরা কেন নিয়ে গেল । আমাকে ওই ঠাকুর ফিরিয়ে এনে দিন, আমি পুজী কোর্ব।” যাদবকৃষ্ণ র্তাহাকে নানামতে বুঝাইবার চেষ্টা করিলেন, কিছুতেই ‘পাগলীবেটী” বুঝিল না। র্তাহার এক কথা, ‘মা এসেছিলেন আমাদের বাটীতে যে ” ঠাকুর ফিরাইয়া আনিতে যাদবকৃষ্ণ অগত্যা লোক পাঠাইলেন। সেখানেও গোল -- ঠাকুর ফিরাইয়া তাহারা দিবে না-বলিল, “তাকী হয় মাকে এনে ফিরে দিতে পারি।” পুত্রবধু সে সংবাদে বিমর্ষ । উপায় ! যাদবকৃষ্ণ মাথায় হাত দিয়া বসিলেন। অবশেষে অন্য প্ৰতিমা আনয়ন করা স্থির হইল। বালক বালিকার আনন্দে গৃহ তখন উতরোল। পূজার আয়োজনে গৃহকত্রীর অসীম উত্তেজনা। এই আনন্দ • কলরব ও চঞ্চলতার মধ্যে কেদারনাথ প্ৰথমাৰ্দ্ধ দিবসের কাৰ্য্য সমাপন করিয়া গৃহে প্ৰত্যাগমন করিলেন । পিতা পুত্রকে সকল সংবাদ দিলেন ন্বিতলে যাইবামাত্র তাহাকে ‘বেড়িয়া|” পুত্র কন্যাগণ শুভ সংবাদ জ্ঞাপন করিল-তাহাদের মুখে হাসি ধরে না । জগজননীর শুভাগমনের পূর্বভাষা যেন তাহদের নয়নে বদনে প্ৰতিফলিত । গৃহিণী কোথায় ছিলেন। ত্বরিৎ আসিয়া স্বামীকে বলিলেন, “পুজো হবে জান?” স্বামী বলিলেন,