পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ NA তাহাকে পরিত্যাগ করে। কিছুদিন পরে তাহার ভীষণ জ্বর হইল এবং তাহাতে তাহার মৃত্যু ঘটিল। জ্ঞাতিগণ তাহার মৃতদেহ ওড়াকান্দী ঠাকুর বাটীতে ফেলিয়া চলিয়া গেল। শ্ৰীহরি উহা দেখিয়া বড়ই দুঃখিত হইলেন। তিনি সকলকে বিদায় দিলেন এবং এক বৃক্ষের তলায় হীরামোহনের মৃতদেহ লইয়া রজনী কাটাইলেন। শেষ রজনীতে তাহার প্ৰাণ সঞ্চার হইল। লীলামৃত গ্রন্থে এই প্রকার বাণিত আছে :- “প্ৰভু বলে যাহা হ’ক সবে যাহ ঘরে। আমি দেখি চেষ্টা ক’রে ঈশ্বর কি করে। সবে গেল প্ৰভু মাত্র রহিল একেলা । মর হীরামনে লয়ে সেই বৃক্ষতলা ৷ যামিনীর শেষ যামে সঞ্চারিল প্ৰাণ । নীরোগ শরীর হ’ল পূর্ণ শক্তিমান ৷ উঠিয়া চরণ ধরি বলে ওহে নাথ । এ অধমে কৃপা করি কর আত্মসাৎ ৷” হীরামোহনের জীবনী অদ্ভুত ঘটনাবলীতে পরিপূর্ণ। তাহা এই প্রকার স্থানে সন্নিবেশ কিবা অসম্ভব। শ্ৰীহরির আদেশে হীরামোহন দেশ ত্যাগ করিয়া বৃন্দাবনে চলিয়া গিয়াছিল। কেহ কেহ বলেন, হীরামোহন অদ্যাবধি জীবিত আছে। একদিন প্ৰাতঃকালে শ্ৰীহরি ঠাকুর বাটীর পুষ্করিণীর পাড়ে এক বৃক্ষতলে বসিয়া আছেন। অনেক ভক্ত তথায় সমবেত হইয়াছে। এমন সময় পাইকডাঙ্গা নিবাসী স্বরূপ চন্দ্র রায় মহারোগে আক্রান্ত হইয়া ঠাকুরের সমীপে আসিলেন। রায় মহাশয় অত্যন্ত প্ৰতিপত্তিশালী লোক ছিলেন এবং দেশে তাহার খুব প্ৰভুত্ব ছিল। তিনি বড়ই অহঙ্কারী ছিলেন এবং প্রজার উপর খুব অত্যাচার করিতেন। ঠাকুর তুহুকে ।