পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ ») শ্বেতকুষ্ঠ রহিয়াছে।” ঠাকুরের বাক্যে তাহার এসকল অভিমান ভাঙ্গিয়া গেল। তখন নিকটে এক দণ্ডায়মান নারী তাহাকে অন্যত্র লইয়া যাইয়া বস্ত্ৰ উন্মোচন করিয়া দেখিল, বাস্তবিক সে শ্বেতকুষ্ঠাগ্ৰস্তা। বাটীর কেহ পূর্বে ইহা জানিত না। ভক্তগণ মহাবিস্ময় মানিল। সেই পতিতা রমণী তখন ঠাকুরের চরণ ধরিয়া কঁাদিতে লাগিল। ঠাকুরের কৃপা হইল এবং সে কুষ্ঠ হইতে পরিত্রাণ পাইল। এই রমণী হরিভক্তিপরায়ণা হইয়া যতকাল জীবিত ছিল ততকাল শ্ৰীহরি ঠাকুরের ভক্তাদিগেব সেবা শুশ্ৰষা করিয়া দিন কাটাইত। এই প্ৰকাবে ঠাকুরের পদধূলি লাভ করিয়া কত অহঙ্কারীর যে দৰ্প চূর্ণ হইয়াছে, কত পাষণ্ডের প্ৰাণে যে ভাবের বন্যা খেলিয়াছে, কত মহারোগীর যে রোগ আরোগ্য হইয়াছে, তাহার ইয়ত্তা নাই। শ্ৰীহরি ঠাকুর তাহার। ভক্তের আলিয়ে গমন করিলে তথায় হরি সংকীৰ্ত্তন হইত। কি স্ত্রী কি পুরুষ সকলেই ঠাকুরের প্ৰেমে উন্মত্ত- -- প্ৰায় হইয়া সংকীৰ্ত্তনে যোগদান করিত। তাহারা ভেদাভেদ জ্ঞানশূন্য হইয়া সকলেই মনে করিত ঠাকুর তাহদের একমাত্র ভগবান, আর তাহারা সকলে তাহার ভক্ত। স্ত্রীপুরুষের এই প্ৰকার মিলন দেখিয়া অনেকে তাহাদিগকে বড়ই ঘূণা করিতে লাগিল এবং তাহদের বিরুদ্ধে এক তুমুল আন্দোলন আরম্ভ করিল। একদিবস ঠাকুর তদীয় ভক্ত পদ্মবিলানিবাসী দশরথ বিশ্বাসের বাটী গমন করিলেন। ভক্তগণ স্ত্রীপুরুষ সকলে সংকীৰ্ত্তনে মত্ত হইল। এদিকে গ্রামের বিরুদ্ধ পক্ষেব লোক দলবদ্ধ হইয়া জমিদারের কাছারীতে নায়েব মহাশয়ের নিকট ভক্তগণের কথা জানাইল। নায়েব দশরথের বাটী আসিয়া স্ত্রীপুরুষের ঐ প্রকার প্রমত্ত অবস্থা দেখিয়া ত্যাহ্বাকে ডাকাইলেন। নায়েব পায়ের জুতা খুলিয়া নিজহস্তে দশরথের পৃষ্ঠে সজোরে প্রহার করিলেন এবং কুড়ি টাকা জরিমানা করিলেন। দশরথ ঐ টাকা আনিয়া নায়েবের R