পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

òb ten-sifs: হস্তে দিলেন। নায়েব উহা পাইয়া হৃষ্টচিত্তে প্ৰস্থান করিলেন। শ্ৰীহরি ঠাকুর ভক্তের এই প্রকার দুর্দশা ও অপমান দেখিয়া ব্যথিত হইলেন। কীৰ্ত্তনান্তে সকলে ভোজন শেষ করিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিল। ঠাকুর খটার উপর শয়ন করিয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। কুলবধূগণ এমন সময় দেখিলেন ঠাকুরের পৃষ্ঠে রক্ত জমিয়া থাক থাক দাগ হইয়া রহিয়াছে। উহা দেখিয়া তাহারা উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিতে লাগিল। বাটীর সকলে ছুটিয়া আসিল এবং জিজ্ঞাসা করিল কি হইয়াছে ? ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন। কোন কথা বলিলেন না। কেবল বলিলেন, “দশরথ কোথায় ?” সকলে ঠাকুরের পৃষ্ঠে ঐ প্রকার দাগ দেখিয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিল এবং বুঝিতে পারিল, ভক্ত দশরথকে প্ৰহার করায় ঠাকুরের পৃষ্ঠে ঐ প্রকার দাগ হইযাছে, প্ৰকৃত ভক্ত এবং ভগবান এক ! পরে এই নায়েবেবি গলিত কুষ্ঠ হইয়াছিল এবং তাহার বংশ নিৰ্ম্মল হইযা গিয়াছে। , ইহার কিছুদিন পথে কতকগুলি দুষ্টলোক ঠাকুরের ভক্তাদিগের বিরুদ্ধে অভিযোগ লইয়া জোসাসুর গ্রামের নীলকুঠির ডিকসন সাহেবের নিকট উপস্থিত হইল। সাহেব তাহদের অভিযোগ শ্রবণ করিয়া শ্ৰীশ্ৰীহারি ঠাকুরকে তাহার ভক্তগণ সহ কুঠিতে উপস্থিত হইতে সংবাদ দিলেন। এই সময়ে নীলকুঠি সাহেবদের জনসাধারণের উপর খুব প্ৰভুত্ব ছিল এবং ছোট ছোট মোকদ্দমা কি দেওয়ানী কি ফৌজদারী তাহারাই বিচার কারিত এবং সাধারণের উহা মানিয়া লইতে হইত। শ্ৰীহরি ঠাকুর প্রায় ৩০০ ভক্ত লইয়া জোসাসুর অভিমুখে চলিলেন। ভক্তগণ প্ৰমত্তের ন্যায় দীর্ঘপথ কীৰ্ত্তন করিতে করিতে নৃত্য করিয়া চলিল। ডিক্সন সাহেব পূর্বে এই প্ৰকার কীৰ্ত্তন কখনও শ্রবণ করেন নাই বা দেখেন নাই। উহা দেখিয়া তিনি ভাবাবেশে আবিষ্ট হইলুন এবং তঁহার মাতাকে উহা দেখিবার জন্য ডাকিয়া আনিলেন। ডিকসন-মাতা কীৰ্ত্তন মধ্যে ঠাকুরকে দেখিয়া পাগলিনীর ন্যায় হইলেন এবং মাটিতে লুটাইয়া পড়িয়া ঠাকুরের পদচুম্বন