পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之@ (s-efabs স্বপ্নাদেশ হয়। "শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথ দেব বলিলেন, আমি ওড়াকান্দী অবস্থান করিতেছি। তথায় শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের নিকট ভাণ্ডে করিয়া প্ৰসাদ লইয়া যাও । লীলামৃত গ্রন্থে এই সম্বন্ধে যাহা বাণিত আছে তাহা নিয়ে প্রদত্ত হইল :- “শিবনাথ ভবনাথ দুই পাণ্ড দিয়ে। পায়সান্না ওড়াকান্দী দেহ পাঠাইয়ে ৷ ফরিদপুর জিলা তেলীহাটী পরগণে । মুকুণ্ডদপুর থানা তাহার দক্ষিণে ॥ তাহার মধ্যেতে আছে ওড়াকান্দী গ্ৰাম । সাধু যশোবন্ত সুত হরিদাস নােম ৷ ঝাঁট পট করা কাৰ্য্য আর কিবা চাও। শাস্ত্ৰ এই ভাণ্ড সেই শ্ৰীধামে পাঠাও ৷ সেই আমি আমি সেই নহে ভেদভিন্ন। সেই দেহে মোর সেবা হইবে এ অন্ন ॥৫ শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের জীবন লীলা অতি মধুব এবং অলৌকিক ঘটনা পরিপূর্ণ। তাহার সমুদায় এই প্রকার পুস্তকে যথাযথভাবে সন্নিবেশ করা একেবারেই অসম্ভব। তদীয় ভক্ত প্রেমিকপ্ৰবর কবির সরাজ ৬/তারক চন্দ্র সরকার প্রণীত “শ্ৰীশ্ৰীহরি লীলামৃত” গ্রন্থে এবং তদীয় পৌত্র সুকবি ৬/সুধন্য কুমার ঠাকুর কৃত “শ্ৰীশ্ৰীহরি চরিতামৃত” গ্রন্থে তাহার জীবনলীলা অতি মধুরভাবে বর্ণিত আছে। আশা করা যায় অনু, সন্ধিৎসু ব্যক্তিমাত্রেই উহা পাঠ করিয়া ঠাকুরের জীবনলীলা অবগত হইবেন। অধুনা পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে আমাদের দেশে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে আশ্চৰ্য্য ঘটনাবলীর সত্যতায় বিশ্বাস স্থাপন করিবার অক্ষমতা দৃষ্ট হয়। ইহাদের প্রতি বক্তব্য এই যে, এই আশ্চৰ্য্য বিচিত্ৰতাপূর্ণ জগতের-বিশেষতঃ ধৰ্ম্ম জগতের ঘটনাবলী মানুষের চক্ষুতে সমস্তই