পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રૂbr ংশ-পরিচয় হরিনামে চিত্ত শুদ্ধ হয় এবং ব্ৰহ্মচর্য্যে মানুষের সুপ্ত শক্তি জাগরিত হয় ! র্তাহার ধৰ্ম্মমত ও শিক্ষার ফলে আজ বাংলার অনুন্নত জাতির মধ্যে নব জাগরণ আসিয়াছে। পূর্বের মত আর তাহাদের অবস্থা নাই। সে দুঃখের দিন গিয়াছে। অনুন্নতেরা বুঝিতে পারিয়াছে একমাত্র শিক্ষা, নৈতিক চরিত্রের উন্নতি এবং আর্থিক উন্নতিই মানুষকে চতুৰ্ব্বৰ্গ ফল প্ৰদান করিতে পারে। বাংলার এই বিশাল অনুন্নত জাতির দেশময় আন্দোলনের পশ্চাতে শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুবের আশীৰ্ব্বাদ রহিয়াছে। তাহার নিকটে বাংলার অনুন্নত সমাজ বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ থাকিবে । বাংলা ১১৮৪ শকে ২৩শে ফান্তুন শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুর ৬৬ বৎসর বয়ঃক্রমকালে মানবলীলা সম্বরণ করেন। তাহার। ভক্তেরা তঁহার দেহ ঘূত সংযোগে চন্দনকাষ্ঠ দ্বারা ভস্মীভূত কবেন। সেই চিতা ভস্ম বাটীতে আনিয়া মাটীর নীচে পুতিয়া রাখা হয়। সে স্থানে একটী মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। বহু নরনারী তথায় আগমন করিয়া মাটীতে গড়াগড়ি দিয়া সর্বাঙ্গে ধূলি মাখে এবং তাপিত দেহ শীতল করে। শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুবের দুই পুল-শ্ৰীগুরুচরণ ঠাকর ও ৬/উমাচরণ ঠাকুর এবং তিন কন্যা-রোহিণী, সরম, ও রাধারাণী। জীবনের শেষ মুহুৰ্ত্তে তিনি তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র গুরুচরণ ঠাকুরকে ভঁাহার ধৰ্ম্মমত এবং সংস্কার কাৰ্য্য পরিচালন করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছিলেন। তিনি সেই আদেশ পালন করিতে জীবন উৎসর্গ করিবেন বলিয়া প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছিলেন। বর্তমানে গুরুচরণ ঠাকুর মহাশয় তাহার পিতার পীঠস্থানে সমাসীন “ঠাকুর”। ভক্তেরা তাহাকে “গুরুচাঁদ ঠাকুর” বলে। তিনি এই নামেও সৰ্ব্বত্র প্রসিদ্ধ। শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের অস্তিমকালে ভক্তেরা কঁদিয়া আকুল হইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তাহারা তাহার পরে কাহার পদচ্ছায়ায় দাড়াইবে । তিনি তাহদের অভয় বাণী দিয়া বলিয়া গেলেন -