পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৪০

RNR -Pf5 হস্ত হইতে রক্ষা পায় নাই। গ্রামের কৃতী সন্তানগণ বাহিরের কৰ্ম্মক্ষেত্রে থাকিতেন ; সুতরাং গ্রামের সহিত র্তাহাদের সংশ্ৰব ক্ৰমে লোপ পাইতে লাগিল । র্যাহাদের অবস্থা মন্দ তাহারই থাকিতেন গ্রামে। কাজেই পল্পীজীবন পূর্বের উচ্চ আদর্শ হইতে হীন হইয়া পড়িতে লাগিল। ক্রমে ইহার ফল হইসিল-গ্রামের ভাল ভাল বাস্তুভিটা, উৎকৃষ্ট ভদ্রাসন বা বাস।-- গৃহগুলি পরিত্যক্ত হইয়া জঙ্গলে পূর্ণ হইল। প্ৰায় ৫০ বৎসর পু,দ- গ্ৰাণ্ড ট্রাঙ্ক রোডেব উভয় পার্শ্ববৰ্ত্তী স্থানসমূহে এমন ঘন জঙ্গল হইলাহ ? যে, দুষ্ট লোকে তথায্য লুকাইয়া থাকিত এবং অসাবধান পথিকদের উপািধ রাহাজানি কবিতা। ইষ্ট ইণ্ডিধান বেলওয়ে কোম্পানী যখন র্তাহ? নে ? রেলপথের উপর লিলুযা ষ্টেশন খুলিলেন এবং বেলুড়ে একটি কারখানা ও ডিবিসন্যাল বা বিভাগীয় হেড কোয়াটাস স্থাপন করিলেন, তখন ক্রম ক্ৰমে এই অঞ্চলের জঙ্গল ও আবৰ্জনা দূরীভূত হইল ; এক্ষণে সেই স্থান একটি সুদৃশ্য উপনিবেশ গডিয়া উঠিয়াছে। বেলুড়েব ব্ৰাহ্মণ অৰ্পিবাসিবর্গের মধ্যে বামশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় মহাশষ অন্যতম ছিলেন । প্ৰকাশ, দু-এক্ষণে লিলুযা গ্রামে যেখানে “হীরাকুপ্ত?” নামক সৌধাবাস নিৰ্ম্মিত হইযাক্রে, সেই স্থানেব সন্নিকটে চট্টোপাধ্যা - পরিবারের আদিনিবাস ছিল । কিন্তু এই অঞ্চলে ডাকালে বা উপগ্রহণ হইত বলিয়া তঁহারা বৰ্ত্তমান গাডিনার রোড নামক যে রাস্তাটি রেলওযে কলনির ভিতিব দিয়া গ্ৰাণ্ড ট্রাঙ্ক রোডে আসিয়া পড়িয়াছে, উক্ত বি নিকটবৰ্ত্তী অঞ্চলে উঠিয়া আসিযা বসবাস স্থাপন করেন । এই স্থানটিও গ্ৰণ্ড ট্রাঙ্ক রোডেব খুবই সান্নিধ্যে ছিল ; রামশঙ্করের পৌল ও রামচন্দ্রের পুত্র রামকুমারের বাটী গ্ৰাণ্ড ট্রাঙ্ক রোডের নিকটেই ছিল। রামকুমারের তিন পুত্ৰ-মহেন্দ্রনাথ, বৈকুণ্ঠ ও শুষ্ঠামাচরণ এবং তিন কন্যা । তখনকার কালের কুলীনপরিবারের প্রথা নুসারে রামকুমার তাহার দুইটা জামাতাকে স্বগৃহে রাখিয়াছিলেন ।