পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ RN • “আমি নাহি ছেড়ে যাব জানিও বিশেষ। . গুরুচাঁদ দেহে এই করিনু প্ৰবেশ ৷ গুরুচাদে ভকতি করিস মোর মত। যাহা চা’বি তাহ প’বি মনোনীত যত ৷ শ্ৰীগুরুচরণ ঠাকুর শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের অসমাপ্ত লীলাপূর্ণকারী তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ শ্ৰীশ্ৰীগুরুচরণ ঠাকুব ১২৫৪ বঙ্গাব্দে ওডাকান্দীতে জন্মগ্রহণ করেন। তঁহার জন্ম সময়ে তাহার পিতার সাংসারিক অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না । মাতা শান্তি দেবী তাঁহাকে বহুকষ্টে বাল্যে লালন পালন করিয়াছিলেন। একটু বড় হইলে পিতা তাহাকে বিদ্যাশিক্ষার্থ পদ্মবিলা গ্রামে দশরথ বিশ্বাসের বাটীতে প্রেরণ করেন। তিনি সেখানে থাকিয়। ঐ গ্রামের পাঠশালায় কিছুদিন পাঠাভ্যাস করেন। পরে মোল্লাকান্দী, সাধুহাটী, দেবাসুর প্রভৃতি স্থানে থাকিয়াও তিনি বিদ্যাশিক্ষা করেন। তিনি কিছুদিন আড়কান্দী সর্দারপাড়ার মোক্তবে পার্শী ভাষা শিক্ষা করেন। তৎকালে বাংলা পাঠশালায় শুভঙ্করী ও শিশুবোধ পড়ান হইত। চাণক্যশ্লোক পদ্যানুবাদসহ মুখস্থ করিতে হইত। চিঠি এবং খতিয়ান লেখা শেষ হইলে পাঠশালার অধ্যয়ন এক প্রকার শেষ হইত। পৌরাণিক বাংলা পুথি হাতে লিখিয়া পাঠ করিতে হইত। তিনি অনেক শাস্ত্ৰগ্ৰন্থ পাঠ করিয়া উহাতে বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করেন। পাঠ সমাপ্তে তিনি কিছুদিন বাটীতে রহিলেন এবং মধ্যে মধ্যে পিতার সহিত ভক্তের গৃহে বেড়াইতে যাইতেন। ভক্তগণ তঁহাকে অত্যন্ত ভালবাসিত। যখন তাহার বয়স অনুমান কুড়ি বৎসর তখন তাহার মনে অর্থে পার্জনের ইচ্ছা বলবতী হইল। তাহীর সমবয়স্ক বন্ধু গিরিশচন্দ্ৰ কীৰ্ত্তনীয়া ও নীলকান্ত চৌধুরীর সহিত পরামর্শ করিয়া জলপথে নৌকায়