পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO) or বংশ-পরিচয় কেন্দ্রীভূত হইয়াছে-এই শিশুটিতে। তিনি তখনই চমকিয়া উঠিতেন, সত্যই ত এই শিশুকে মানুষ করিবার ভার যে তাহার উপর। তিনি মনে করিতেন, বিধাতার সৃষ্টিতে মাতার ও পুত্রের-র্তাহাদের দুইজনের জীবন বুঝি ব্যর্থ হইয়াছে। কিন্তু শিশুসন্তানটীর যখন ক্ৰমে ক্ৰমে DBB DBDBDB BDBBDSTBBD BD BB DBDDDLD LD SKKDBD হইল এবং তিনি বুঝিতে পারিলেন-ৰ্তাহাদের দুইজনকে-মাতাকে ও শিশুকে অতঃপর পরস্পর পরস্পরের সাহায্য-নির্ভর হইয়া থাকিতে হুইবে । যতীন্দ্রমোহনের শৈশব ও বাল্যজীবনের বিশদ পবিচয় দিতে হইলে এই জীবনী অত্যন্ত দীর্ঘ হইয়া পড়িবে। তবে এই সম্বন্ধে এইটুকু বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, অত্যন্ত শৈশব হইতে যতীন্দ্রমোহন বুঝিয়াছিলেন যে, মাতাকে সুখী করিবার জন্যই তঁহাকে বাচিতে হইবে। তিনি যেমনভাবে তেঁাহাকে গড়িয়া তুলিতে চান, সেইরূপ ভাবেই তিনি নিজেকে গড়িয়া তুলিবেন । কারণ মাতা সুখী হইয়াছেন—ইহা জানিতে পারিলে তঁাহার এত আনন্দ হয় যে, তিনি তাহা বলিতে পারেন না ! যে কাৰ্য্য করিলে মাতা “দুঃখ বোধ করেন, তাহার কষ্ট হয়, এমন কাৰ্য্য বা আচরণ তিনি কখনও করিবেন না ; শৈশব ও বাল্যকাল হইতেই ইহা তাহার প্রতিজ্ঞা ছিল। ভৈরবচন্দ্রের মৃত্যুতে যতীন্দ্রমোহন ও তঁহার মাতা যে আঘাত প্ৰাপ্ত হইলেন, তাহ হীরালালের অকালমৃত্যু-জনিত আঘাতের মতই নিদারুণ । ইহার কঠোরতা কেবল যে শিশু ও তাহার মাতা অনুভব করিলেনতাহা নহে, ভৈরবচন্দ্রের পরিবারবর্গও তদ্রুপ অনুভব করিলেন । পরিবারপরিচালনায় কিছু বিশৃঙ্খলাও ঘটিল। তখনও অনেক মূল্যবান সম্পত্তি পরিবারবর্গের হন্তে ছিল । কিন্তু ভৈরবচন্দ্র দীর্ঘকাল রোগশয্যায় শায়িত ছিলেন ; সেই সময়ে রীতিমত পরিদর্শন ও পরিচালন-অভাবে সেগুলি