রায় শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায় বাহাদুর No8) পৰ্য্যন্ত নিঃশ্বাস-প্ৰশ্বাস ফেলে নাই। শিশুটিকে দোতলায় প্ৰসুতির পাশ্বের দরে নার্স বা সেবাকারিণীগণ অক্সিজেন প্ৰয়োগ করিয়া এবং গরম ঠাণ্ড জলে স্নান করাইয়া উহার শ্বাস-প্ৰশ্বাস আনাইবার চেষ্টা করিতেছিলেন । ডাক্তারের শিশুর জীবনের আশা ত্যাগ করিয়া উহার চিকিৎসা ছাড়িয়া দিয়াছিলেন, কিন্তু নাসিগণ তখনও শিশুর জীবনরক্ষার আশা ত্যাগ করে নাই বলিয়। তাহার জীবন-রক্ষাবি চেষ্টা করিতেছিল। রাত্ৰি ১০টার সময়ে পরিবারের প্রায় সকলেই শয়ন করিতে যাইলেন, তঁহাদের আশাপরদিন প্ৰভাতে প্ৰসুতির অবস্থা আরও ভাল দেখিবেন । ইহার অল্পক্ষিণ পরে যে ডাক্তারা প্ৰসুতিব অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণের জন্য নিযুক্ত ছিলেনতিনি বলিলেন, এখনই স্তর নীলরতন সরকারকে খবর পাঠানো হউক যে, রোগিণীর শ্বাস-প্ৰশ্বাসে কষ্ট হইতেছে। যতীন্দ্ৰ নিজেই স্তর নীলরতনের বা উীতে এই খবর দিবার জন্য যাইলেন, কিন্তু সেদিন রাত্ৰিতে তিনি শুর উইলিয়াম ওয়েডারবারণের অভ্যর্থনা-সভায় যোগ দিতে গিয়াছিলেন, রাত্ৰি আন্দাজ ১১টার সময়ে যতীন্দ্ৰ স্তম্ভব নীলরতনকে লইয়া আসিলেন। রোগিণীকে পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন ; তার পর ভিন্ন গুরুদাসের সহিত ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেলেন । যখন "স্তর গুরুদাস ও স্তর নীলরতন সিড়ি দিয়া নীচে নামিতেছিলেন, তখন একজন নাস ছুটিয়া আসিয়া স্তর নীলরতনকে বলিল-আপনি একবার দেখিবেন চলুন, ছেলেট নিঃশ্বাস ফেলিতেছে। স্তর নীলরতন ইহাতে যেন বিস্মিত ও চমকিত হইয়া উঠিলেন, কারণ তাহার ধারণা ছিল-অনেক পূর্বেই সন্তোজাত শিশুর মৃত্যু ভাইয়াছে। তিনি শিশুটিকে পরীক্ষা করিলেন এবং বলিলেন, তোমরা যে ভাবে উহার সেবা করিতেছি, সেই ভাবেই কর । এই বলিয়া তিনি চলিয়া গেলেন । র্যাহারা প্ৰসুতির সেবা করিতেছিল, তাহারা প্ৰসুতির দেহে ঔজ্ঞাপ ছিল বলিয়া তাহার যে মৃত্যু হইয়াছে তাহা বুঝিতে পারেন। নাই । যে সময়ে শিশুপুত্র শ্বাসপ্ৰশ্বাস ফেলিতে আরম্ভ করিয়াছৰ ঠিক
পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।