পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७द्धांकांनौब्र ॐाकूद्ध बश्श Q9 দিগের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগই অসত্য প্রমাণিত হইল। পিউনিটিভ পুলিশ স্থাপনের আর কোন চেষ্টা হইল না। মিঃ ন্যাথান যতদিন ঢাকায় ছিলেন, ততদিন নমঃশূদ্র জাতি সম্বন্ধে সকল বিষয়ে ঠাকুর মহাশয়ের পরামর্শ ব্যতীত কিছুই করিতেন না। ইং ১৯০৫ সালে যখন বঙ্গ বিভাগ হইল, তখন স্বদেশী আন্দোলন পূর্ণমাত্রায় চলিতে লাগিল। বৃটিশ পণ্য দ্রব্যসকল বৰ্জিত হইতে লাগিল । দেশে সর্বত্ৰ সভা সমিতিতে বঙ্গ বিচ্ছেদের বিরুদ্ধে ঘোর আন্দোলন দেশময় ছড়াইয়া পড়িল । এই সময়ে পরলোকগত স্থার সুরেন্দ্ৰ নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। তিনি গুরুচরণ ঠাকুর মহাশয়ের নিকট এই আন্দোলনে নমঃশূদ্র জাতির যোগদান কবা কৰ্ত্তব্য এই মৰ্ম্মে এক দীর্ঘ পত্ৰ লিখিয়াছিলেন। ঠাকুর মহাশয় তাহার উত্তরে লিখিলেন, “নমঃশূদ্র জাতি অত্যন্ত দরিদ্র জাতি। ইহারা কখনও বিলাসিতা জানে না। এক সুলভ বিলাতী বস্ত্ৰ ব্যতীত ইহার কোন বিদেশী দ্রব্যই ব্যবহার করে না। তথাকথিত উচ্চবর্ণের বিলাসী লোকেরাই বিলাতী দ্রব্য ব্যবহার করিয়া থাকে। অতএব এই আন্দোলন সর্বতোভাবে তাহদের মধ্যেই প্ৰচলিত হওয়া আবশ্যক । নমঃ শূদ্র জাতি এতকাল রাজনৈতিক অধিকারে বঞ্চিত হইয়া তাহদের নিজ বাসভূমিতে নিপীড়িত ও নিৰ্য্যাতিত অবস্থায় বাস করিতেছে। তাহাদের এই অধিকার লাভের চেষ্টা ব্যর্থ করিবার মানসে বহুলোক তাহাদের বিরুদ্ধে পূর্ব হইতেই লাগিয়া আছে। সর্ব প্ৰথমে তথাকথিত উচ্চবর্ণের হিন্দুদিগের মধ্যে অনুন্নত জাতি সমূহের প্রতি ভ্ৰাতৃভাব আনয়ন করা দরকার। তাহা না হইলে কোন দিনই বাংলার অনুন্নত সমাজ উচ্চবর্ণের হিন্দুদিগের সহিত মিলিত হইয়া কোন প্রকার স্বদেশী আন্দোলনে যোগদান করিতে সমর্থ হইবে না৷ ” এই পত্ৰ পাইয়া সুরেন্দ্ৰ নাথ একবার ওড়াকান্দী আসিতে ইচ্ছা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, কিন্তু