পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DD DBB BuLD DBDD D DBBD LB DB DS DBBT তিনি দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া পত্ৰ লিখিয়াছিলেন । ইং ১৯২০ সালে কলিকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে যখন দেশে নন-কো-অপারেশন আন্দোলন প্ৰবৰ্ত্তিত হইল, তখন ওড়াকান্দীতে ঠাকুর মহাশয়ের উদ্যোগে এক বিরাট সভার অধিবেশন হয়। উক্ত সভায় নমঃশূদ্র জাতি এই আন্দোলনে যোগদান করিবে না স্থির করিয়া এক প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করে। ইতার কিছুদিন পরে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও দেশপ্ৰাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল প্রভৃতি কংগ্রেস নেতৃগণ নন-কো- অপাবেশনের মূলনীতি এবং উহা জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে সকলের গ্ৰহণ করা উচিত এই মৰ্ম্মে অনেক পত্ৰাদি ঠাকুর মহাশয়ের নিকট লিখিয়াছিলেন। তিনি তাহার উত্তরে বলিয়াছিলেন-“রাজনৈতিক অধিকারে বঞ্চিত থাকিয়া নমঃ শূদ্ৰগণ গবৰ্ণমেণ্টের সহিত কোন প্রকার সহযোগ করিতে পারে নাই। এমন অবস্থায় ইহাদিগকে গবৰ্ণমেণ্টের সহিত অসহযোগ করিতে বলা ও না বলা উভযই সমান। দেশের নেতৃগণ এই প্ৰকার আন্দোলনে তাহাদের শক্তি সম্পূৰ্ণ নিয়োগ না করিয়া অনুন্নত সমাজের উদ্ধার সাধনে চেষ্টা করিলে অধিকতর অল্প সময়ে স্বরাজ লাভের সম্ভাবনা হইত।” ফলতঃ মহাত্মা গান্ধি এই সত্য পরে উপলব্ধি করিয়৷ অনুন্নতদেব উন্নতিকল্পে প্ৰয়াসী হইয়াছিলেন। ১৯২৫ সালে যখন বঙ্গের অস্থায়ী গবৰ্ণর স্তার জন কার গোপালগঞ্জ মহকুমা পরিদর্শন করিতে আগমন করেন, তখন অসহযোগ আন্দোলন পুর্ণমাত্রায় চলিতেছিল। অসহযোগীগণ গবৰ্ণর বাহাদুরের আগমনের দিন হরতাল ও তাহার অভ্যর্থনা বর্জন করিবে বলিয়া সৰ্ব্বত্র ঘোষণা করিয়াদিল। সেইসময় শ্ৰীযুত কালীপদ মৈত্র গোপালগঞ্জের মহকুমা ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। তিনি দেখিলেন। গবৰ্ণর বাহাদুরকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য