পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওড়াকান্দীর ঠাকুর বংশ 8 დეA হইয়াছে। জমিদারের কৰ্ম্মচারিগণ হিংসার বশবৰ্ত্তী হইয়া নমঃশূদ্ৰ প্ৰজাদিগের নামের সহিত অত্যন্ত কুৎসিত পদবি সংযুক্ত করিয়া দিত। ঠাকুর মহাশয় ইহার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন এবং স্বয়ং বহু নমঃ শূদ্ৰ পরিবারকে উচ্চ পদবি দ্বারা ভূষিত করেন। তিনি নমঃশূদ্র জাতির ব্ৰাহ্মণের শিক্ষার জন্য বহু চেষ্টা করেন এবং তঁহার নিজ ব্যয়ে বহু নমঃশূদ্র জাতির ব্ৰাহ্মণ টোলে পড়িয়া নানা প্ৰকার সংস্কৃত উপাধি লাভ করিয়াছে। নমঃ শূদ্ৰগণ অধিকারী নামক এক শ্রেণীব লোকের নিকট হইতে দীক্ষা গ্ৰহণ করিত। এই অধিকারী গুৰু হইতে সমাজে অনেক ব্যাভিচাব মূলক কাৰ্য্য ধৰ্ম্মের নামে চলিত ; এই প্ৰথা দিন দিন সমাজকে কলুষিত করিতেছিল। ঠাকুর মহাশয় ইহা দমনকল্পে নিজহস্তে জুতা মারিয়া অনেক অধিকারী গুরুকে দেশ তইতে বিতাডিত করিয়াছেন। একমাত্র তাহার জন্যই এদেশ হইতে অধিকারী গুকগিরি ব্যবসায় তিবোহিত হইয়াছে। এই সঙ্গে ভেকধাবী বহু বৈষ্ণব বৈষ্ণবী এই অঞ্চল ছাড়িয়া দূরদেশে প্ৰস্থান করিয়াছে। শ্ৰীশ্ৰীহরিঠাকুরের কথা ছিল বাউল ধৰ্ম্মের। একেবারে উচ্ছেদ সাধন করিতে হইবে। ঠাকুর মহাশয় তাহ অক্ষবে অক্ষরে পালন কবিৰাছেন। বর্তমান সময়ে আর বাউল ধৰ্ম্ম নমঃশূদ্র জাতির মধ্যে নাই। সকল বাউল ধৰ্ম্ম এখন শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া মধুর হরিনাম কীৰ্ত্তন করে। গুরুচবণ ঠাকুর মহাশয় তাহার পিতাব ধৰ্ম্ম ও মত ব্যাপকভাবে প্রচার করিয়াছেন এবং তঁাহার ভক্ত সংখ্যা বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে এবং দিন দিন এখনও পাইতেছে। তঁহার প্রধান শিষ্য পরলোকগীত দেবী চরণ মণ্ডল দক্ষিণ খুলনা এবং বরিশাল যাইয়া ঠাকুরের ধৰ্ম্ম প্রচার করেন এবং বহু নমঃপূদ্র ও ব্রাত্যক্ষত্রিয় ও বারুজীবি তাহা গ্ৰহণ করে। দক্ষিণ খুলনা অঞ্চলের গোপাল চন্দ্ৰ সাধু হালদার ঠাকুরের পরম ভক্ত হিসাবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি এবং বরিশাল জিলার বিপিন চন্দ্ৰ