পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S3 বংশ-পরিচয় গোস্বামী ঠাকুরের ধৰ্ম্ম বহু দূরদেশে প্রচার করিয়াছেন। রাধাচরণ চক্ৰবৰ্ত্তী নামক বরিশালবাসী এক ব্ৰাহ্মণ ওড়াকান্দী আসিয়া ঠাকুরের নামে ও প্রেমে উন্মত হন। তিনি উত্তরে মৈমনসিংহ, কাছাড়, কুচবিহার রংপুর, দিনাজপুর এবং পূর্বে ত্রিপুরা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম এবং আগরতলায় যাইয়া ঠাকুরের নাম ও ধৰ্ম্ম প্রচার করেন এবং সহস্ৰ সহস্ৰ লোককে এই ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। তিলছাড়া গ্রামনিবাসী দেবীচরণ বিশ্বাস বৰ্দ্ধমান, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ প্ৰভৃতি জিলায় প্রচার কাৰ্য্যে নিযুক্ত আছেন। তালতলাবাসী বিচরণ বিশ্বাস অনেক খৃষ্ট ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে হরিনাম প্রচার করিয়া তাহাদিগকে ঠাকুরের ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিয়াছেন। যশোহরের কালিয়ানিবাসী রাঢ়ী শ্রেণীর ব্ৰাহ্মণ ৬৮ পঞ্চানন ভট্টাচাৰ্য্য যশোহর ও নদীয়া জেলায় ঠাকুরের নাম প্রচার করিয়াছেন। খাসিয়ালী নিবাসী ৮ নবীন চন্দ্র বসু তাহার স্বজাতি কায়স্থগণের মধ্যে ঠাকুরের মহাত্ম্য প্রচার করেন। খুলনার তেরখাদা নিবাসী মুসলমান তিনকড়ি হরিসাধক মুসলমানদিগের মধ্যে হরি নাম প্রচার করিয়াছেন । প্রতি বৎসর চৈত্রমাসে মধুকৃষ্ণ! ক্ৰয়োদশী তিথিতে মহাবারুণী স্নান দিবসে ওড়াকান্দী শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের জন্মোৎসব মহাসমারোহে সম্পন্ন হইয়া থাকে। এই সময়ে বাংলার বহু দূরবর্তী স্থান হইতে র্তাহার লক্ষ লক্ষ ভক্ত তথায় সমবেত হইয়া অহনিশ হরি সংকীৰ্ত্তন করিয়া থাকে। এই উপলক্ষে একটী মেলা হয় এবং বহু লোকের সমাগম হইয়া থাকে। স্বেচ্ছাসেবকগণ মেলার এবং উৎসবের শৃঙ্খলা রক্ষা করে। ঠাকুর মহাশয় তাহার পিতার স্মৃতি রক্ষার্থ নিজ বাটীতে একটী হরিমন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। প্রত্যহ সকালে এবং সন্ধ্যায় উহাতে শ্ৰীশ্ৰীহরি ঠাকুরের অৰ্চনা হয় এবং রাত্রিতে হরি সংকীৰ্ত্তন হইয়া থাকে। বাংলা ১৩৩৯ সালে ‘আশ্বিন মাসে লক্ষ লক্ষ ভক্ত দিগকে একতাসূত্রে বন্ধন