পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स्फुांकांनौद्ध ठांकूव्र बक्ष्* 8ዓ জানের সময় বহু যাত্রী সমবেত হইয়া এই দুই জলাশয়ে স্নান করিয়া ত্ৰিতাপে তাপিত দেহ শীতল করে। শেষোক্ত জলাশয়টীি ঠাকুর মহাশয়ের মাতৃদেবীর নামে উৎসর্গীকৃত হইয়াছে বলিয়া উহাকে “শান্তি সাগর” কহে । স্বৰ্গীয় শশিভূষণ ঠাকুর গুরুচরণ ঠাকুর মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র শশিভূষণ ঠাকুর বাংলা ১২৭৫ সালে ভাদ্রমাসে ওড়াকান্দীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে তাহার স্বাস্থ্য বিশেষ ভাল ছিল না এবং তিনি বড়ই নিরীহ প্ৰকৃতির বালক ছিলেন। গ্ৰাম্য পাঠশালায় অধ্যয়ন শেষ করিয়া তিনি যশোহর জিলার অন্তৰ্গত জয়পুর নামক গ্রামে থাকিয়া লোহাগড়া স্কুলে পাঠাভ্যাস করেন। তিনি বাল্যকাল হইতেই লেখাপড়ায় অত্যন্ত অনুরাগ প্ৰদৰ্শন করেন এবং খুব মেধাবী ছাত্র বলিয়া শিক্ষকদিগের অত্যন্ত প্রিয় পাৰুি হইয়াছিলেন। তিনি কলিকাতার বিডন উদ্যানের পশ্চিম পার্শ্বস্থা চিৎপুর রোড়ের সুপ্ৰসিদ্ধ চান্দসীর ডাক্তার শ্ৰীযুত প্ৰসন্ন কুমার দাশ। ধন্বন্তরী মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা অনঙ্গ মোহিনী দেবীকে বিবাহ করেন। তখন তাহাব বয়স মাত্ৰ ১৭ বৎসর। বিবাহের পর তিনি কলিকাতার কটন স্কুল হইতে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে কিছুদিন ঢাকায় থাকিয়া জগন্নাথ কলেজে অধ্যয়ন করেন। এই সময়ে তাহার তৃতীয় ভ্ৰাতা উপেন্দ্ৰ নাথের মৃত্যু হওয়ায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করিয়া কলিকাতায় মেট্রোপলিটান কলেজে কিছুদিন অধ্যয়ন করেন। পরে তিনি জেনারেল এসেমন্ত্রী ইনষ্টিটিউসনে ভৰ্ত্তি হইয়াছিলেন। কলেজের অধ্যক্ষ মরিসন সাহেব তাহাকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন। সাংসারিক অনেক দুর্ঘটনায় ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি আর বেশী দিন কলিকাতায় থাকিয়া কলেজে অধ্যয়ন করিতে পারেন নাই।