পাতা:বংশ-পরিচয় (ঊনবিংশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(R e-pifass কলিকাতা হাইকোটে ব্যারিষ্টারী আরম্ভ করেন। বিলাত হইতে, আগমনের পর বহুস্থানে লোকে তঁহাকে অভিনন্দিত করেন এবং অনেক স্থানে জনসভায় তিনি সভাপতিরূপে আহুত হন। ১৯৩২ সালের আগষ্ট মাসে যখন সম্রাটের প্রধান মন্ত্রী মিঃ রামজে ম্যাকুডোনালেন্ডব সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা প্ৰকাশিত হয় এবং উহাতে বাংলার অনুন্নত জাতির জন্য ব্যবস্থাপক সভায় মাত্ৰ ১০টা আসন সংরক্ষিত হয়, তখন শ্ৰীযুত ঠাকুর তাহার বিরুদ্ধে ঘোব আন্দোলন করেন। এই সম্পর্কে হাওড়া নিখিল বঙ্গ অনুন্নত জাতি সমূহের সে সম্মেলন হইয়াছিল, তিনি তাহার অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি নিৰ্বাচিত হইয়াছিলেন। ঐ সময়ে তিনি অন্যান্য অনুন্নত সমাজ নেতাদের সহিত মিলিত হইয়া নিখিল বঙ্গ Wyts stifo is ( All Bengal Depressed Classes Federation ) স্থাপন করেন। পরলোকগত রায় বাহাদুর রেবতীমোহন সরকার উহার সভাপতি এৰং শ্ৰীযুত ঠাকুর উহাল সহঃ সভাপতি নিৰ্বাচিত হইয়াছিলেন। ১৯৩২ সালের শেষভাগে মহাত্মা গান্ধি ভারতীয় অনুন্নতদের ব্যবস্থাপক সভায় পৃথক নির্বাচনের প্রতিবাদ করিয়া অনশন ব্ৰত অবলম্বন কবিলে বর্ণহিন্দু নেতাদিগের এবং অনুন্নত সমাজনেতা ডাঃ আম্বেদকরের মধ্যে পুণায় এক চুক্তি হয়। তাহাতে বাংলার অনুন্নত জাতি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় ৩০টি আসন পাইবে স্থির হয়। এই পুণা চুক্তির বিরুদ্ধে বাংলার কতিপয় বৰ্ণহিন্দু দেশমায ঘোরতর আন্দোলনের সৃষ্টি করিলে শ্ৰীযুত ঠাকুর। ইহার তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিয়া ষ্টেটসম্যান এবং অমৃতবাজার পত্রিকায় অনেক বিবৃতি প্ৰদান করেন। খুলনা জিলার লক্ষ্মীখালি নামক স্থানে ইহার প্রতিবাদকল্পে এক বিরাট জনসভা आइङ झू। শ্ৰীযুত ঠাকুর। ইহার সভাপতি নিৰ্বাচিত হন। উহাতে পুণাচুক্তি সমর্থন করিয়া এক প্ৰস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৩৩ সালের জুলাই