পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাতোয় রাজবংশ ଅନ୍ଧକ বলেন যে, নিয়মানুসারে জ্যেষ্ঠপুত্র রাজ্যের অধিকারী, কাজেই বীরপ্ৰতাপকে মাসিক মাসোহরা বাবদ এক হাজার টাকা দিবার ● || C• | এই বংশের কুলাচার বা প্ৰথানুসারে জ্যেষ্ঠপুত্রই রাজ্যের উত্তরাধিকারী ও উপাধি প্ৰভৃতির অধিকারী হন, কনিষ্ঠপুত্ৰ মাত্ৰ মাসিক মাসোহরা বাবদ নগদ টাকা কিংবা ভূসম্পত্তি পান । এই প্ৰথা মহারাজ ফতে সাহীর পূর্ব হইতে বিদ্যমান ছিল এবং প্ৰিভি কৌক্ষিসলের বিচারের দ্বারা এই প্ৰথা আরও দৃঢ়ীকৃত হয় । প্ৰিভি কৌন্সিলে যে মোকদ্দমা হয়, তাহাকে হাতোয়ারাজ-মোকদ্দমা বলে এবং এই মোকদ্দমায় মহারাজা রাজেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সাহীির ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয় । এই মোকদ্দমার মীমাংসা হইতে দশবৎসর লাগিয়াছিল । ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে মহারাজা রাজেন্দ্ৰপ্ৰতাপ সাহী মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি কৃষ্ণপ্ৰতাপ সাহী নামক একটা পঞ্চদশবর্ষীয় নাবালক পুত্র রাখিয়া যান । মহারাজ কৃষ্ণপ্ৰেতাপ নাবালক বলিযা কোর্ট অব ওয়ান্ডস হাতোয় রাজ্যের পরিচালনা-ভার গ্ৰহণ করেন। কোট অব ওয়াড’স তিন বৎসর এই জমিদারীর সুব্যবস্থা করিয়া ৪,৩৪,০০০২ টাকা জমান। এই টাকার চারিভাগের তিনভাগ ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে বিহার দুর্ভিক্ষের সময়ে ব্যয় করা হয়। এই সময়ে হাতোষ রাজ্য জরীপ করা হয় । মহারাজা স্যর কৃষ্ণ প্ৰতাপ সাহী বাহাদুর সি-আই-ই ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে মহারাজা কৃষ্ণপ্ৰতাপ সাহী সাবালক হন । ঐ বৎসরের আগষ্ট মাসে ছোটলাট দরবার করিয়া তাহাকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করেন । বাবু ভুবনেশ্বর দত্তের সুবন্দোবস্তে রাজ্যের উত্তরোত্তর উন্নতি হইতে থাকে। র্তাহার মৃত্যু হইলে বাবু বিপিনবিহারী ৰসু রাজ্যের ম্যানেজার নিযুক্ত হন এবং তঁহার পরিচালনায় রাজ্যের সমধিক উন্নতি হয়। মহারাজা নিজে জমিদারীর মধ্যে পরিভ্রমণ করিয়া