পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকোটের ঠাকুর সাহেব So মাসে দিল্লীতে যে অভিষেক-দরবার হইষাছিল, তাহাতে ঠাকুর সাহেব যোগদান করিয়াছিলেন । গত মহাযুদ্ধের সময় তঁহার সমস্ত সম্পত্তি বৃটিশ গভর্ণমেণ্টের ইচ্ছাধীন রাখিয়াছিলেন, এবং তঁহার নিজের সৈন্য প্ৰদান করিয়াছিলেন । ১৯১৮ সালে তিনি উচ্চ শ্রেণীর নাইট উপাধি প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন । তিনি তাহার শাসনকালে সমস্ত ব্রাজ্যোিব কাৰ্য্যাবলী নিজে পরিদর্শন করিতেন । তাহার শাসনকালের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই যে, তিনি ১৯১৩ সালে প্ৰজাদিগের প্রতিনিধি-সভা নামে একটি সভার সৃষ্টি করিয়াছিলেন। সকল শ্রেণীর প্রজাদের মধ্য হইতে নিৰ্বাচিত ৯০ জন সভ্য এই সভাতে থাকে । ১৯২৪ সালে তিনি পুনরায় ইংলণ্ডে গিয়াছিলেন এবং ফ্রান্স ও সুইজারল্যাণ্ড ভ্ৰমণ করিয়াছিলেন । এই বৎসর তিনি তাহার প্রজাদের উপর অতিরিক্ত বিশ্বাস স্থাপনের আর একটি প্ৰমাণ দিয়াছিলেন। তিনি কৰ্ম্মচারী ও প্রজাদের মধ্য হইতে নিৰ্বাচিত সভ্যদের লইযা গঠিত একটি ভার উপর রাজ-কাৰ্য্য পরিচালনের ভার দিয়াছিলেন। এইরূপে তিনি কথিওযারের অন্যান্য রাজাদিগকে আর একটি উদাহরণ দেখাইয়াছিলেন । সমগ্ৰ কাথিওযিারের মধ্যে তিনিই একমাত্ৰ প্ৰথম রাজা ছিলেন যিনি “কাথিয়াওয়ারের রাজনৈতিক সভা’র ও ‘কাথিয়াওয়ারের যুবক সভা’র প্রথম অধিবেশন হইতে দিয়াছিলেন । স্বৰ্গীয় রাজার ২২ বৎসরের সংক্ষিপ্ত শাসনের মধ্যে যে উন্নতি হইয়াছে তাহা অতীব প্ৰশংসনীয়। একটি কাপড়ের কল, ইলেকট্রিক উৎপাদনের বাটী ( Electric Power House), GNSC, ময়দার কল, একটি কঁসা প্ৰস্তুতের কারখানা, একটি লৌহ কারখানা, এবং অন্যাঙ্ক আরও নানা প্ৰকার শিল্পের সৃষ্টি তাহার সময়ে হইয়াছিল। তিনি তাহার রাজ্যের শিল্পী ও কৃষকদিগকে সাহায্য করিবার জন্য একটি ‘রাসায়নিক