পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকোটের ঠাকুর সাহেব os বোম্বাই হইতে নাসা আনয়ন করা হইয়াছিল এবং নানা প্রকার চিকিৎসা করা সত্ত্বেও শনিবার তাহার অবস্থা আরও খারাপ হয় । গত ২রা ফেব্রুয়ারী রবিবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের সময় তাহার জীবন-বায়ু নিৰ্গত হয় । তিনি দুই পুত্ৰ, যুবরাজ শ্ৰীধৰ্ম্মেন্দ্ৰ সিংজী ( রাজকোটের বর্তমান ঠাকুর সাহেব) ও কুমার শ্ৰীপ্ৰদুমন সিংজী এবং রাণী শ্ৰীমিনাপুরওয়াল-এই তিন জনকে রাখিয়া গিয়াছেন। রাজার মৃত্যুসংবাদে রাজকোটের প্রজারা অতীব আশ্চৰ্য্য এবং মম্মাহত হইয়াছিল। তাহারা তখনই সমস্ত বাজার হাট প্রভৃতি বন্ধ করিয়া দিয়াছিল। হিন্দু, মুসলমান প্রভৃতি সকল সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাহাদের প্রিয় রাজার প্রতি সন্মান প্ৰদৰ্শন করিবার জন্য প্ৰাসাদের দিকে গমন করিতে লাগিল । প্ৰাসাদ হইতে শ্মশান পৰ্য্যন্ত রাস্তাগুলি আবালবৃদ্ধ-বনিতায় পূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। রাজার খারাপ অবস্থার কথা শুনিয়া পশ্চিম ভারতের রাজ্যসমূহের গভর্ণর-জেনােরলের এজেণ্ট মিঃ ই এইচ কীলি তাহার প্রাসাদে গমন করিয়াছিলেন। তিনি বর্তমান ঠাকুর সাহেবকে সাস্তুনা প্ৰদান করিয়াছিলেন এবং প্রাসাদের মূল্যবান দ্রব্যাদি রক্ষার জন্য ধনাগার শিলবদ্ধ করিয়াছিলেন। বিকাল প্ৰায় ৩টার সময় প্রথামত যুবরাজ ধৰ্ম্মেন্দ্ৰ সিংজীির তিলক-উৎসব সম্পন্ন হইয়াছিল । রাজকোট রাজ্যের সমস্ত অফিস ও বাজার ৪ দিনের জন্য বন্ধ ছিল । গ্ৰাম হইতে লোকগণ এবং অন্যান্য রাজ্য হইতে প্ৰতিনিধিগণ সত্ত্বনা প্ৰদানের জন্য আগমন করিয়াছিল। কথিওয়ারের অন্যান্য রাজাদের মধ্যে নবীনগরের জাম সাহেব, গোণ্ডলের মহারাজা সাহেব, মহামান্য মহারাজা স্ত্যর শ্ৰীভগবৎ সিংজী এবং ওয়াংকানারের রাজা সাহেব, মহামান্য রাজা সাহেব স্তর শ্ৰীঅমর সিংজী বর্তমান ঠাকুর সাহেবকে সাত্মনা দিবার জন্য রাজকোটে আসিয়াছিলেন ।