পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেভারেণ্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ని তোমার স্কুলে আর ছেলে পাঠাইব না।” হেয়ার সাহেব অগত্যা কৃষ্ণমোহনকে হেয়ার স্কুল হইতে বরখাস্ত করিলেন। ১৮৩২ খৃষ্টাব্দের ১৭ই অক্টোবর মির্জাপুর ষ্ট্রীটে ডফ সাহেবের ভবনে ডফ সাহেবের পৌরোহিত্যে কৃষ্ণমোহন খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্ৰহণ করেন। এই সমযে London Missionary Society's SStrice fists is carris বিদ্যালয় স্থাপিত হইল। কৃষ্ণমোহন উহার অধ্যক্ষ নিযুক্ত হইলেন । কৃষ্ণমোহনের বয়স যখন ১৫/১৬ বৎসর তখন হাবড়া-নিবাসী রাধামোহন চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা বিন্দুবাসিনীর সহিত তাহার বিবাহ হইয়াছিল। পতিব্ৰতা স্ত্রী পতিকে ত্যাগ করিয়া পিত্ৰালয়ে থাকিতে কোন মতেই রাজি হইলেন না। ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দে তিনিও খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া স্বামীর সহিত একত্র বাস করিতে থাকেন । ১৮৩১ খৃষ্টাব্দে কৃষ্ণমোহন প্ৰসন্নকুমার ঠাকুরের Reformer পত্রের সহিত প্ৰতিদ্বন্দিতা করিয়া Inquirer নামক একখানি কাগজ বাহির করেন । Inquirer পত্রে হিন্দুসমাজের সংস্কার সম্বন্ধে অনেক প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হইত। বাঙ্গালী ভাষার দুৰ্গতি দেখিয়া এই সময়ে কৃষ্ণমোহন “সুধাংশু” নামে একখানি বাঙ্গালা সংবাদপত্রও প্ৰকাশ マFびエ | ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দে কৃষ্ণমোহন খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মযাজকের পদে উন্নীত হন । ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে তাহার জন্য হেদুয়ারের পশ্চিমে বেথুন কলেজের দক্ষিণে একটি খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মমন্দির নিৰ্ম্মিত হয়। অদ্যাবধি সেই গির্জাটি “কৃষ্ণ বাড়ুজ্যের গির্জা” নামে খ্যাত হইয়া আসিতেছে। এই গির্জাতেই তিনি আচাৰ্য্যের আসনে উপবেশন করিয়া উপদেশ দিতেন । এই গির্জায় ১৮৩৭-১৮৫২ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত তিনি ধৰ্ম্মযাজকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ।