পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রী > ÑQGx পড়াইতেন বলিয়া পাঠশালার অন্যান্য বালকদের অপেক্ষা শিবনাথ অল্প দিনে অনেকদূর অগ্রসর হইয়াছিলেন। শিবনাথের পিতা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র এবং বিদ্যাসাগর মহাশয় ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারের বিশেষ প্ৰিয়পাত্র ছিলেন । প্ৰতিদিন দ্বিপ্রহরে শিবনাথের জননী তাহাকে রামায়ণ পড়িয়া শুনাইতেন । পিতা সংস্কৃত কলেজে পড়িতেন বলিয়া শুধু গ্ৰীষ্মাবকাশে ও পূজার ছুটীর সময়ে বাড়ী আসিতেন। কাজেই শিবনাথের বাল্যশিক্ষার দিকে তাহার জননীকেই দৃষ্টি দিতে হইত। তাহার মায়ের বয়স যখন উনবিংশতিবর্ষ মাত্র তখন শিবনাথের জন্ম হয়। শিবনাথের বয়স যখন ছয় বৎসর তখন তঁহার একটা ভগিনী হয়, সেই ভগিনীর নাম রাখা হয় উন্মাদিনী । কুসংসর্গে মিশিবার ভয়ে মাতা শিবনাথকে প্ৰতিবেশী ছেলেদের সহিত মিশিতে দিতেন না। বলিয়া দুই ভাই-বোন বাড়ীতে বসিয়া খেলা করিত । শিবনাথের জননী অতি নিষ্ঠাবতী হিন্দুমহিলা ছিলেন । পুত্রকন্যা রোগে পড়িলে তিনি তাহাদের আরোগ্যের জন্য দেবতার নিকট প্রার্থনা করিতেন। তিনি নিত্য শিবপূজা করিতেন। তাহার প্রপিতামহও প্রতিদিন তপ, জপ, পূজা, সন্ধ্যা, আহিক করিতেন। প্রতিদিন পিতৃপুরুষের তর্পণ করা তাহার নিত্যাক্রিয়া ছিল । নবম বৎসরে উপনীত হইলে শিবনাথের উপনয়ন সংস্কার হয় । ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দের আষাঢ় মাসে শিবনাথ পিতার সহিত প্ৰথম কলিকাতায় আগমন করেন । তাহার পিতা। একজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত হইলেও এবং সংস্কৃত কলেজ হইতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেও মাসিক ১৫২ টাকার অধিক বৃত্তি পাইতেন না । এই কারণে তিনি তঁহাকে ইংরাজী শিখিবার জন্য হেয়ার স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া দিবার সঙ্কল্প করিলেন ; কারণ, তিনি বুঝিয়েছিলেন, ইংরাজী না শিখিলে হাজার সংস্কৃতশাস্ত্রে “পণ্ডিত হইলেও মোটা বেতন পাইবার কোন আশা নাই। কিন্তু সেই সময়ে