পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Do ংশ-পরিচয় ১৮৬৯ খীষ্টাব্দের ৭ই ভাদ্র যেদিন ব্ৰাহ্মমন্দির খোলা হয়, সেদিন অপরাপর কতিপয় যুবকের সহিত আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্র সেনের নিকট শিবনাথ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের দীক্ষা লইয়া প্ৰকাশ্যভাবে ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবেশ করেন । এই সময়ে শিবনাথ একেবারে পিতৃগৃহ হইতে বিতাড়িত সুইলেন । শিবনাথ তাহার আত্মজীবনীতে লিখিয়াছেন যে, ১৮৬৫ সাল হইতেই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম ও ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতি তাহার আকর্ষণ জন্মিয়াছিল । তাহার জ্ঞাতি-দাদা হেমচন্দ্ৰ বিদ্যারত্নই এই আকর্ষণের মূল ছিলেন । হেমচন্দ্ৰ প্ৰতিনিয়ত শিবনাথের নিকট ব্ৰাহ্মসমাজের ও এাহ্মধম্মের গুণ কীৰ্ত্তন করিতেন । তিনি ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম-গ্ৰহণের পর উপবীতত্যাগের সঙ্কল্প করিলে তাহার পিতা আসিয়া তাহাকে বাড়ীতে ধরিয়া লাইমা গেলেন এবং প্ৰায় একমাস কাল তাহাকে নজরবন্দী করিয়া ব্ৰাখিলেন । তিনি পাগল হইয়াছেন বলিয়া চারিদিকে জনবর রাষ্ট্র উইল। এমন কি, ৩৪ ক্রোশ দূর হইতে এই অদ্ভুত লোকটিকে দেখিবার জন্য লোক আসিতে লাগিল । তাহারা আসিয়া শিবনাথের দিকে একদৃষ্টিতে চাহিয়া থাকিয় তাহার প্রত্যেক গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিত। এমনই ভাবে শিবনাথ একদিন বসিয়া আছেন, চাষার মেয়েরা সকলে ঘরের প্রাঙ্গণে র্তাহার দিকে একদৃষ্টি তাকাইয়া আছে। কিছুক্ষণ পরে শিবনাথ বলিলেন, “ম একটু তেল দেও, আমি মান করিয়া আসি।” শিবনাথকে কথা বলিতে দেখিয়া চাষার মেয়েরা অবাক হইয়া তাহার মাকে বলিল, “তা হ’লে কথা কয় ” চাষার মেয়েদের কথা শুনিয়া শিবনাথের হাসি আসিত । আর একদিন শিবনাথ ঘরের দাওয়ায় বসিয়া মুড়ি খাইতেছেন, এমন সময় পাড়ার একটি স্ত্রীলোক আসিয়া বলিল, “ওমা, এ যে মুড়ি খায়, তবে বলে যে, এ আমাদের মধ্যে নেই।” এইভাবে মাসাধিক কাল আবদ্ধ করিয়া রাখিয়া শিবনাথের পিতা যখন দেখিলেন যে, পুত্রের সঙ্কল্প কিছুতেই দূর হইবার নহে, তখন