পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রী YNo. শিবনাথকে চিরজীবনের জন্য বর্জন করিলেন এবং আবশ্যক জিনিষপত্ৰ ও খরচ-পত্ৰাদি দিয়া তাহাকে কলিকাতায় পাঠাইয়া দিলেন । তদবধি ১৮১৯ বৎসর কােল তিনি আর শিবনাথের মুখদর্শন করেন নাই । পিতৃগৃহ হইতে বিতাড়িত হইয়া শিবনাথ আকুল সমুদ্রে পড়িলেন বটে, কিন্তু মোটা স্কলারশিপ থাকায় তাহার বিশেষ কোন কষ্ট হইল না । তিনি আসিয়া পটলডাঙ্গা মিরজাফরস লেনে শ্ৰীযুত হরগোপাল সরকারের সহিত একত্র বাসা করিলেন । পিতৃগৃহ হইতে বিতাড়িত চইয়া ভগদ্বিশ্বাসী শিবনাথ লিখিলেন “ভাসায়ে জীবন-তরী। বিপত্তির সাগরে, যাই দেব ! দেখ দেখ রক্ষা করি আমারে ; মোর পক্ষ ছিল যার বিপক্ষ হইল তারা, ঘেরিল সকল দিক অপবাদ-আঁধারে বহিল প্ৰবল ঝড় মস্তকের উপরে। ১৮৭০ খিষ্টাব্দে কেশববাবু বিলাতে গেলেন, তাহাতে শিবনাথের মনে ভারী কষ্ট হয় । শিবনাথকে কেশব বড় ভালবাসিতেন । কেশব বাবু শিবনাথের সহিত অনেক সময় ঠাট্টা-তামাসাও করিতেন । একদিন বড়লাটের বাড়ীতে সান্ধ্য সমিতিতে গিয়া কেশব রাত্ৰি ৯ টার সময় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। শিবনাথ বুলিলেন, আপনি ৮ টার সময় আসিবেন বলিয়া গেলেন, অথচ রাত্রি ৯ টায় আসিলেন। কেশব বলিলেন, কি করি ? কত বড় বড় লোক উপস্থিত। হইয়াছিলেন, কেহ ছাড়ে না । শিবনাথ বলিলেন, আচ্ছা, বড় বড় লোকদের তা বড়লাট কত উপাধি দেন, আপনাকে ত কোন উপাধি দেন না। কেশব হাসিয়া বলিলেন কেন, আমি যে K, C. S, I (অর্থাৎ আমি কেশবচন্দ্ৰ সেন ) ।