পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রী \OG কেশব বাবুর সহিত শিবনাথের মনোমালিন্যের তৃতীয় কারণ এই যে, কেশব বাবু ইংলণ্ড হইতে আসিয়া ব্ৰাহ্মমন্দিরের উপাসকদিগকে ডাকিয়া প্ৰথম প্ৰথম পরামর্শ করিতেন, কিন্তু উপাসকেরা স্বাধীন মতামত প্ৰকাশ করায় কেশবের তাহ সহ্য হইত না এবং তিনি আর উপাসকগণকে ডাকিতেন না । শিবনাথ ও অন্যান্য কযেকজন উপাসক কেশবের এইৰূপ নিয়মবিবৰুদ্ধ আচরণের তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করেন । ১৮৭৩ সালে শিবনাথের মাতুল ‘সোমপ্ৰকাশ’-সম্পাদক দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় পীড়িত তইয়া পড়েন। তিনি সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকতা চাইতে বিদ্যান্য লইয়া উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বায়ু-পরিবর্তনের জন্য যান। যাইবার সময শিবনাথকে ডাকিয়া ভঁাহার ‘সোমপ্ৰকাশ’, গ্ৰামস্ত সংস্কৃত ইংরাজী। স্কুল, তঁহার বিষয়-সম্পত্তি ও র্তাহার পরিবার-পরিজনের দেখিবার ভাব শিবনাথের উপর দিয়া যান | মাতুলের অনুরোধ রক্ষা করিতে গিয়া শিবনাথকে ব’ধ্য হুইযা কেশব-প্রতিষ্ঠিত মহিলা স্কুলের শিক্ষকত। পরিত্যাগ করিতে হইল । কেশববাবু ইহাতেও শিবনাথের প্রতি মনে মনে অসন্তুষ্ট হইলেন । এই সমযে শিবনাগের দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজ মোহিনীর পিতা, মাতা, ভাই, ভগিনী সকলেই মারা যাওয়ায় শিবনাগ সেই নিরাশ্রয়া পত্নীকে লইয়া আসিলেন এবং বিরাজমোহিনীকে পুনর্বার বিবাহ দিবার প্রস্তাব করিলেন । কিন্তু বিরাজমোহিনী তাহাতে রাজী না হইয়া মহিলা বিদ্যালয়ে পড়িতে লাগিলেন । শিবনাথের অন্যতম পত্নী প্ৰসন্নময়ীর গর্ভে হেমলতা, তরঙ্গিণী ও প্ৰিয়নাপ জন্মগ্রহণ করায় শিবনাথ প্ৰসন্নময়ীকে লইয়া এতদিন গৃহস্থালী করিতে ছিলেন । কিন্তু এক্ষণে বিরাজমোহিনী ও প্ৰসন্নময়ী এই উভয়ের হাত এড়াইবার জন্য শিবনাথ রাত্ৰিতে হিন্দু কলেজের বারান্দায় দপ্তরীদের টেবিলে বই মাথায় দিয়া শুইয়া পড়িয়া থাকিতেন। প্ৰসন্নময়ী ও বিরাজমোহিনী এই সংবাদ শুনিতে পাইয়া উভয়েই কাদিতে