পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 R श्*->iि সাধনাশ্রম, ব্ৰহ্মবালকনিবাস, বাকি পুরের রামমোহন রায় সেমিনারী প্ৰভৃতি বাচাইয়া রাখেন । দাৰ্জিলিংয়ে যখন উপাসনা-মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় তখন শিবনাথ তাহা উদ্বোধন করিতে যান ; কিন্তু তখন শিলিগুড়ি হইতে দাৰ্জিলিং পৰ্য্যন্ত রেলপথ কেবল পাতা হইতেছিল । যাহারা অর্থশালী লোক তাহারা টোঙ্গায় করিয়া দাৰ্জিলিং যাইতেন । শিবনাপের সেরূপ টাকা না থাকায় এবং ব্ৰাহ্মসমাজ তত ব্যয় নির্বাহ করিতে না পারায়, শিলিগুড়ি হইতে শিবনাথ প্ৰথমে ঘোড়ায় চড়িয়া দাজ্জিলিং রওনা হন, কিন্তু পথিমধ্যে যাইয়া যখন তিনি শুনিলেন যে, ঘোড়াটা মাদী ও গর্ভিণী, তখন তিনি গর্ভিণী ঘোড়াকে বৃথা কষ্ট না দিয়া ঘোড়া হইতে অবতরণ করিয়া পদব্ৰজে সেই খাড়া উচু পৰ্ব্বত অতিক্ৰম করিয়া কাসিয়ঙ্গে উপনীত হইলেন । তথা হইতে অন্য ঘোড়ায় চড়িয়া দাজ্জিলিংয়ে পৌছিয়া মন্দিরপ্রতিষ্ঠাকাৰ্য্য সম্পন্ন করিলেন। দাৰ্জিলিং হইতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিয়াই শিবনাথ মাদ্রাজে গেলেন । তথায় গিয়া দেখিলেন, ব্ৰাহ্মণের আহার শূদ্রের দেখিবার অধিকার নাই। এমন কি, চেটি প্রভৃতি কোন কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে পিতার আহার পুত্রের দেখিবার অধিকার নাই। ব্ৰাহ্মণ শূদ্র একসঙ্গে পথে পথিক হইলে ব্ৰাহ্মণকে কাপড়ের কাণ্ডার খাটাইয়া তন্মধ্যে আহার করিতে হয় ; ইহা দেখিয়া শিবনাথ জাতিভেদের অনিষ্টকারিতা সম্বন্ধে একটি বক্তৃতা করিলেন। ফলে মাদ্রাজ সহরে হুলুস্থল পড়িয়া যায়। অতঃপর শিবনাথ নিমন্ত্রিত হইয়া পরশুবাকিম, মাইলপুর প্রভৃতি মাদ্রাজের অনেক উপনগরে বক্তৃতা করেন। মাদ্রাজ হইতে কলিকাতায় ফিরিবার পর শিবনাথের উপর অৰ্দ্ধনিস্মিত উপাসন-মন্দিরটি সম্পূর্ণ করিবার ভার অপিত হইল। ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে মন্দিরের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ১৮৮০ সালের মাঘোৎসব অৰ্দ্ধনিৰ্ম্মিত মন্দিরেই সম্পন্ন হয় । ১৮৮১ সালের ১০ই মাঘ মন্দিরের নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য শেষ হইলে আবার মাদ্রাজ হইতে