পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৩

बझव अभिज्ञ GN খনন করাইয়া তাহার ঘাট বাধাইয়া দিয সাধারণের জলকষ্ট Tনবারণ করিয়া দেন। রথযাত্র হিন্দুদিগের একটী বিশেষ পর্ব। তৎকালে এতদ্দেশের হিন্দুগণের রথযাত্ৰ-পৰ্ব্ব-উপলক্ষে মনস্তুষ্টি-সাধন জনা তিনি একখানি বৃহদকার কারুকাৰ্য্যবিশিষ্ট অত্যুচ্চ কাষ্ঠTনৰ্ম্মিত রথ নিৰ্ম্মাণ করেন ; অদ্যাবধি শ্ৰীধর শালগ্ৰাম ঠাকুর রথ লাত্ৰায় তথা হইতে আসিয়া রথরোহণ করতঃ এই বংশের মঙ্গল সাধন করিযা থাকেন । বৈষ্ণবচরণ যেমন নামে বৈষ্ণব ছিলেন তদ্রুপ কাৰ্য্যেও বৈষ্ণবত্বের যথেষ্ট পরিচয় দিয়া গিয়াছেন । তিনি বৈষ্ণবধৰ্ম্মপরাযণ, সদালাপী, মিষ্টভাষী, দয়া ও দাক্ষিণ্য-গুণে ভূষিত ছিলেন। অনেক সাধু ব্যক্তি তাহার নিকট যাতায়াত করিতেন। তিনি কখনও কাহাকেও বিফলমনোরথ করিতেন না । এ বংশের দািযার পরিচয় বৈষ্ণবচরণ ঠাইতে পাওয়া যায । যথা, উপযুক্ত পাত্রে দান, সম্মান, অন্ন ও বস্ত্ৰদান ইত্যাদি। বৈষ্ণবচরণ রামকানাই নামক একটী পুত্র রাখিয়া সজ্ঞানে চরিগুণ গান করিতে করিতে প্ৰাণত্যাগ করেন । বামকানাই পিতার আদর্শ পুত্র ছিলেন। তিনি তঁহার পিতাব মৃত্যুর পর অতুল ধনের অধীশ্বর হইয়া পিতার পদচিহ্ন অনুসরণ করিয়া সমস্ত কাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করেন। রামকানাইবাবু যে সময়ে যেরূপ লেখাপড়া শিক্ষা করিয়া চরিত্র ও আর্থিক উন্নতি করিতে হয তাহা করিয়াছিলেন। তিনি কিছু জমিদারী আদি খরিদ করেন এবং তাহার মহাজনী কারবার ক্রমশঃ অনেকদূর পর্য্যন্ত ছড়াইয়া পড়ে । ভোগ-বাসনায় অনাসক্তি তাহার বরাবরই ছিল। তঁহার মত নিরভিমান লোক এতদঞ্চলে বিরল। বিপদে পড়িয়া কেহ উপদেশ বা সাহায্য প্রার্থনা করিলে তিনি তাহ দান করিতেন । তিনি তঁাহার পিতার স্থাপিত রথযাত্রা-পর্বের উন্নতি-সাধন করেন । রথযাত্রার দিন অনেক গরীব-দুঃখীকে অর্থ দান করিতেন । তিনি তঁহার পিতার