পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ জলধর মণ্ডল, এল-এল-এস S) ዓ (፩r প্রশমিত হইত। তাহার মুখমণ্ডলে দয়ামৰ শ্ৰীভগবান গ্ৰীতি-প্ৰফুল্লত। স্বাভাবিক-ভাবে মাখিয়া রাখিয়াছিলেন, তাহার হৃদয় এইভাবের পূর্ণতম নিত্য উৎস ছিল-সেই অফুরন্ত উৎস হইতে র্তাহার মুখমণ্ডলে অনুক্ষণ প্রতি-প্ৰফুল্লতা সঞ্চারিত হইত-সে মুখমণ্ডলে আমরা কখন ক্ৰোধ, অভিমান, অজ্ঞতার দর্প, অসৌজন্য বা বিদ্বেষের ভাব দেখিতে পাই নাই। * * * তাহার প্ৰেমভক্তির প্রভাব সৰ্ব্বদাই তাঁহাকে সাধু বৈষ্ণব-সমাজে উচ্চপদে প্ৰতিষ্ঠিত করিয়া রাখিত - তিনি তাহার স্বভাব-সুলভ দীনতায় নিজেকে অতি হেয় দেখাইতেন তদ্রুপ তৃণাদপি নীচভাব প্ৰদৰ্শন করিতেন কিন্তু আমরা তাহাকে হৃদয়ের সখ্যার ন্যায় বুকে জড়াইয়া ধরিতামতিনি ভক্তিবিনম্রচিত্তে দূরে দূরে থাকিতে চাহিলেও আমরা স্বভাবতঃ চুম্বকের ন্যায় আকৃষ্ট হইয়া তাহার অতি নিকটে যাইয়া বসিতাম, এমন একটি স্বাভাবিকী আকর্ষণ-শক্তি শ্ৰীভগবান তাহাকে প্ৰদান করিয়াছিলেন ।” এইবার তাহার সাংসারিক জীবন-সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়া আমরা এ প্ৰবন্ধের উপসংহার করিব । তাহার কৰ্ম্মক্ষেত্র কেবল চিকিৎসা-ব্যবসায়ে সীমা-বদ্ধ ছিল না, অবসর পাইলে তিনি সাধারণের হিতকাৰ্য্যে আত্ম-নিয়োগ করিতেন । তিনি বহুদিন ধরিয়া ধান্যকুড়িয়া উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ের সহকারী সম্পাদক ছিলেন । বিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের তত্ত্বাবধান করিয়াই তিনি তাহার কৰ্ত্তব্যের সমাপন করিতেন না, নিজে অবসর মত স্কুলে গিয়া পড়াইতেন। দরিদ্র ছাত্রদের প্রতি তাহার বিশেষ সহানুভূতি ছিল এবং তিনি অনেক দরিদ্র ছাত্রকে বিনা বেতনে পড়িবার ব্যবস্থা করিয়া দিতেন । তিনি বাদুড়িয়া বেঞ্চ কোর্টের অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। এই কাৰ্য্যে তিনি তাহার খ্যাতি অক্ষুন্ন রাখিতে সমর্থ হইয়াছিলেন।