পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 বংশ-পরিচয় পদক প্ৰাপ্ত হন । ১৮৮০ সালে সংস্কৃতে পারদর্শিতার জন্য প্যাচিটি পুরস্কার লাভ করেন। ১৮৮৫ সালে বি-এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া হুগলী, মুঙ্গের এবং রঙ্গপুরে ওকালতি করেন । রঙ্গপুরে তঁহার মাসিক আয় ৮০২৮৫২ টাকা ছিল, কিন্তু উচ্চাশায় প্রণোদিত হইয়া তিনি ১৮৮৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কলিকাতা হাইকোর্টে ওকালতি আরম্ভ করেন। ১৮৯০ এবং ১৮৯১ এই দুই বৎসর ওকালতি করিয়া মাসিক ৩৫২,৪০২ টাকার অধিক আয় না হওয়ায় তিনি ১৮৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুন্সেফী চাকরী গ্ৰহণ করেন। তিনি চাকরীতে প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিযী। ১৯১৩ সালের শেষভাগে আসিষ্টাণ্ট সেসন্স জজ-পদ লাভ করেন এবং শেষে মুঙ্গেরে জজ-পদ লাভ করিয়া ১৯১৮ সালে অবসর গ্ৰহণ করিযাছেন। তাতার অনেক বন্ধু আশা করিযাছিলেন যে, তিনি কলিকাতার হাইকোর্টের জজ-পদে উন্নীত হইবেন কিন্তু সে সুযোগ তাহার অদৃষ্ট ঘটে নাই। তাহার কাৰ্য্যকুশলতার জন্য বিহার গবর্ণমেণ্ট তাঁহাকে “রায় বাহাদুর” উপাধি-দানে সম্মানিত করিয়াছেন। তঁহার ছাত্রজীবনে তিনি তৎকালীন “ষ্টডেণ্ডস এসোসিয়েসনে”র সম্পাদক ছিলেন এবং ওকালতির সময়ে কংগ্রেসেও যোগদান করিয়াছিলেন । এক্ষণে তিনি সাহিত্য, দর্শন, ভাষাতত্ত্ব, ইতিহাস, জাতিতত্ত্ব, বিজ্ঞান, তন্ত্র প্রভৃতির আলোচনায় জীবন অতিবাহিত করিতেছেন-“ভারতবর্ষ”, “বসুমতী”, “মানসী”, “নবযুগ” প্রভৃতি পত্রিকায মধ্যে মধ্যে প্ৰবন্ধ লিখিয়া থাকেন এবং হরিপালের সংস্কার ও উন্নতির জন্য কয়েক বৎসর ধরিষা অক্লান্ত পরিশ্রম করিতেছেন। বংশের কীৰ্ত্তিকলাপগুলিও যথাসম্ভব বজায় করিয়া আসিতেছেন । সুরেশচন্দ্ৰ পরেশচন্দ্রের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। তিনি বণ্টনসূত্রে শিলং দোকানের স্বামিত্ব লাভ করিয়া মৃত্যু পৰ্য্যন্ত তাহা চালাইয়া গিয়াছেন। তিনি গৌহাটীতে জীবন কাটাইয়াছেন-সেখানে ২০,০০০ হাজার