পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জ দেব চন্দ্রের অনুরাগী রাজকৰ্ম্মচারিগণ, এমন কি শ্ৰীনাথ চন্দ্রের বিধবা মহিষী৷ পৰ্যন্ত র্তাহাকে পদচ্যুত করিবার ষড়যন্ত্র করিয়াছিলেন। কিন্তু মহিষী৷ ৰখন দেখিলেন যে, এই চেষ্টা ফলবতী হইবে না, তখন তিনি এই কাৰ্য্য হইতে বিরত হয়েন এবং ক্রমশঃ কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতি স্নেহপরাযণা হইয়া উঠেন । এই কৃষ্ণচন্দ্ৰই ময়ূরভঞ্জে সুশাসনের বীজ রোপণ করেন এবং পরে উহা অঙ্কুরিত হইয়া তদীয় পুত্ৰ শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেবের আনুকূল্যে ফলফুলে সুশোভিত বৃক্ষে পরিণত হয়। রাজ্যশাসনে যোগ্যতা ও সাধারণহিতকর কাৰ্য্যে মুক্তহস্তে অর্থসাহায্যের জন্য ১৮৭৭ খ্ৰীষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তঁহাকে মহারাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। ইনি কটক হাইস্কুলকে কলেজে পরিণত করিবার জন্য ২৭,০০০২ টাকা দান করিয়াছিলেন ; ইহাই এক্ষণে রাভেন্স কলেজ নামে আখ্যাত এবং ইহাই উড়িষ্যায় একমাত্র কলেজ। ময়ুরভঞ্জ রাজ্য ইনি যোগ্যতার সহিত পরিচালন করিতেছিলেন বলিয়া, সুশাসনের পুরস্কারস্বৰূপ বামনঘাট মহকুমা ১৮৭৮ খ্ৰীষ্টাব্দে ব্রিটিশ গবমেণ্ট ইহার হস্তে প্ৰত্যাৰ্পণ করেন। আধুনিক শাসন-পদ্ধতির বীজরোপণ মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰই ময়ুরভঞ্জ রাজ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে শাসনকাৰ্য্যের প্রবর্তন করেন। তিনি সুশাসনের সুবিধার জন্য দেওয়ানী, ফৌজদারী ও রাজস্ব-সংক্রান্ত বিচারালয়ের প্রতিষ্ঠা করেন এবং এক একটী বিভাগ এক একজন যোগ্য কৰ্ম্মচারীর কর্তৃত্বাধীন করিয়া দেন। ইতিপূর্বে বিচারালয়ের কাৰ্য্যে শৃঙ্খলা ছিল না ; নথিপত্র, দলিল, রায় ইত্যাদি রক্ষিত করিবার ব্যবস্থা ছিল না। পূর্বে দেওয়ান ও অন্যান্য কৰ্ম্মচারীরা মুখে মুখেই বিচার করিতেন, কালি-কলমের ধার ধারিতেন না ; যদি বা কখনও লিখিবার প্রয়োজন হইত। তবে কাগজ ব্যবহৃত হইত না, উহার স্থলে তালপত্র ব্যবহৃত হইত। পূর্বে