পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

த ቕድጫ-ዏif፭bጻ বিচারালয়ের কৰ্ম্মচারীরা মাদুরে বা গালিচার উপরে বসিতেন এবং তথায় বসিয়াই কৰ্ত্তব্য সম্পাদনা করিতেন । কেবল পদমৰ্য্যাদার জন্য দেওয়ানকে বসিবার নিমিত্ত মাদুরের উপর গদী ও গদীর চারিপাৰ্থে বালিশ দেওয়া হইত। দেওয়ান মুখে মুখেই রায় দিতেন বা হুকুম জারি করিতেন, কলমে হাত দিতেন না । মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰ এই পুরাতন প্ৰথা উঠাইয়া দেন এবং পদস্থ কৰ্ম্মচারিগণের জন্য টেবিল চেয়ার ও তঁহাদের সহকারীদের জন্য বেঞ্চের ব্যবস্থা করেন। কেবল না জর, মুহুরী ও অন্যান্য নিম্নতন কৰ্ম্মচারীদের জন্য পূর্ববৎ মাদুর বা সতরঞ্চের ব্যবস্থাই বহাল রহিল । তাহার আদেশে রীতিমত রেকর্ড রাখিবার বন্দোবস্ত হইল ; ফাইলের ব্যবস্থা হইল ; নালিশের দরখাস্ত, সাক্ষীদের জবানবন্দী প্ৰভৃতি রীতিমত কাগজে লিখিয়া পেশ করিবার ও ঐগুলি সুরক্ষিত করিবার প্রথা প্ৰবৰ্ত্তিত হইল। এইসকল কাগজপত্র রাখিবার জন্য রেকর্ড রুম বা মহাফেজখানা স্থাপিত হইল। নোটাশ, সমান ধরাইবার জন্য পেয়াদা নিযুক্ত হইল এবং সেজন্য রাজসরকার হইতে ফী বা পারিশ্রমিক নিৰ্দ্ধারিত হইল। ক্ৰমে কোর্ট ফী গ্রহণের প্রথাও প্ৰবৰ্ত্তিত হইল । মামলাকারীদের পক্ষ-সমর্থনের জন্য কয়েকজন মোক্তারকে আদালতে ভৰ্ত্তি করা হইল এবং রাজসরকারের পক্ষ-সমর্থনের জন্য রাজকীয় উকীলও নিযুক্ত হইলেন। বারিপদায় একটি রেজিষ্ট্ৰী অফিস স্থাপিত হইল এবং ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধক ইত্যাদি বিষয়ক দলিল রেজিষ্টারীর জন্য কলেক্টরের অধীনে একজন সাব-রেজিষ্টার নিযুক্ত করা হইল। নিম্ন আদালতের বিচার-ফলে কেহ অসন্তুষ্ট হইলে সে ব্যক্তি যাহাতে মহারাজার নিকট আপীল করিতে পারে তাহার ব্যবস্থা হইল। মহারাজার নিকট আপীল হইলে তিনি মামলার নথিপত্র তলব করিতেন এবং উভয় পক্ষের মোক্তারগণের বক্তব্য শুনিয়া স্বহস্তে রায় লিখিতেন । র্তাহার বিচারে সকলেই সন্তুষ্ট হইত ।