পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব RR) ধাতুনিৰ্ম্মিত ছিল। কয়েকটা পিতলের কামানও ছিল। এইগুলি ময়ুরভঞ্জের শিল্পীরাই তৈয়ারী করিয়াছিল। প্রায়ই বেলগাড়িয়া প্ৰাসাদে ছাদের উপর তিনি এই পুতুলগুলিকে লইয়া যুদ্ধের খেলা করিতেন। বালক মহারাজার সহিত অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধে আবদ্ধ কতিপয় ব্যক্তি ব্যতীত অপর কাহাকেও তিনি এই খেলা দেখাইতেন না। তরুণ মহারাজার অশ্বারোহণে তেমন আগ্রহ বা অনুরাগ ছিল না ; তথাপি তিনি তাহার শিক্ষক মিষ্টার কিডেলের সহিত নিত্য অশ্বারোহণ করিতেন । বেড়াইতে বেড়াইতে অনেক সময় ঘোড়ার পিঠেই কাটিয়া যাইত। এজন্য পরিণত বয়সে তিনি কাৰ্য্যে একাগ্রতার পরিচয় দিতে পারিতেন । তিনি চড়িবার ঘোড়াগুলিকে বড় ভালবাসিতেন । রাভেনস কলেজের ফটকে ও অন্যান্য স্থানে তরুণ মহারাজের কতকগুলি অশ্ব উচ্ছঙ্খলতা প্ৰদৰ্শন করিয়াছিল বলিয়া একবার উড়িষ্যার কমিশনার মহাশয় উহাদিগকে ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন । এই সময়ে শ্ৰী রামচন্দ্ৰ দাৰ্জিলিঙ্গে ছিলেন । তাহার নিকট কমিশনারের এই নিষেধাজ্ঞী যখন পৌছিল, তখন বাঙ্গালা গবর্মেন্টের পক্ষ হইতে র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি ঐ ঘোড়াগুলি কি সত্য সতাই রাখিতে চান ? উত্তরে তরুণ মহারাজ বলেন-“এগুলিকে আমি রাখিতেই চাই, ইহাদিগকে বিদায় করিয়া দিলে আমার মনে বড় কষ্ট হইবে।” বাঙ্গালা গবর্মোণ্টের তদানীন্তন চীফ সেক্রেটারী তখন মিষ্টার কিডেলকে বলেন,-“তবে ঘোড়াগুলিকে রাখিয়া দিন।” বলা বাহুল্য, পরে এই ঘোড়াগুলি বেলগাড়িয়া প্রাসাদের আস্তাবলে থাকিয়া বুড়া হইয়াছিল । প্ৰায় এই সময়ে তরুণ মহারাজা দাৰ্জিলিঙ্গ সহরে তঁহার “টিম পিঞ্চ’ নামক পুরাতন ঘোটকে চড়িয়া একটি পেপার-স্ক্রীন রেস (Paper-screen race জিতিয়াছিলেন। মিসেস কিডেল মহারাজার খেলাধূলা সম্বন্ধে লিখিয়াছেন,- একবার রাজধানী বারিপদাতে ইংরেজী নববর্ষের