পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o -Pfab, বিষয়-সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হইবে কি না । এই ব্যাপার লইয়া সে সময়ে প্ৰবল আন্দোলন উঠিয়াছিল । এই সময়ে মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ তাহার দেওয়ান শ্ৰীযুত মোহিনীমোহন ধর মহাশয়কে ইংরেজী ভাষায় যে পত্ৰ লিখিয়াছিলেন। সেই পত্রে এই বিবাহে তাহার দায়িত্বের বিষয় পূর্ণভাবে প্ৰকটিত হইয়াছিল। সেই পত্রের অনুবাদ নিম্নে প্রদত্ত হইল ঃ-“ভগবানকে ধন্যবাদ যে, আমি শক্তি সঞ্চয় করিয়াছি এবং বাধা যেরূপ প্ৰবল হইবে মনে করিয়াছিলাম, তদ্রুপ হয় নাই। আমার পক্ষে ন্যায় ও কৰ্ত্তব্য বিদ্যমান। আমি প্ৰজাবৃন্দের মনোভাব বেশ বুঝিতে পারিতেছি। কিন্তু আমি যে সমস্যায় পড়িয়াছি তাহার সমাধান কোথায় ? একদিকে প্ৰতিশ্রুতি ও ধৰ্ম্ম সাক্ষী করিয়া অঙ্গীকার, অন্যদিকে প্ৰজাবৃন্দের প্রতিকূলতাচরণ ? ধৰ্ম্ম ও নীতি কি বিষয়-বুদ্ধির নিকট পরাজিত হইবে ? প্ৰজাগণের শ্রদ্ধা ও প্রীতি হইতে বৃঞ্চিত হওয়া আত্মবিসর্জনের তুল্য, কিন্তু এক্ষেত্রে কি ইহাই ধৰ্ম্ম নহে ? আমি শান্তিপূর্ণ জীবনই ভালবাসি, কিন্তু অবস্থার উপর আমার কোনও হাত নাই। অবশ্য আমার প্রজাবৃন্দকে না জানাইয়া আমি এই বিবাহ করিব না, যদি সম্ভব হয়, তাহা হইলে আমি তাহাদিগকে আমার মতে আনিবার চেষ্টা করিব । যদি তাহার এই বিবাহের অনুমোদন না করে, তাহা হইলে অন্ততঃ পক্ষে আমার মনের অবস্থা বুঝিয়া ইহা রহিয়া সহিয়া” লাইতে হইবে । অবশ্য জনমণ্ডলীকে আমার মতানুবৰ্ত্তী করাই আমার কৰ্ত্তব্য এবং তাহাতে আমার উপকারই হইবে ; তবে ইহা কতদূর সম্ভব হইবে তাহা বলিতে পারি না। এই ত অবস্থা এবং এ সম্বন্ধে আমার অভিমত কি তাহাও আপনাকে বলিলাম। আপনি এ বিষয়ে কিরূপ অভিমত পোষণ করেন ? কারণ আপনার অভিমতকে আমি বারিপদ বা অন্য কোনও স্থানের কোনও ব্যক্তির অভিমতকে আমি অধিকতর মূল্যবান বলিয়া শ্রদ্ধা করি।”