পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব 8 করিযী বলিবার সুযোগ পাইযা আমি আনন্দ ও গৌরব অনুভব করিতেছি ।” “এ দেশে রাজভক্তি ধন্মের অনুশাসন মধ্যে গণ্য ! সকল স্থিরচিত্ত ভবিতবাসীর হৃদযেই রাজভক্তি বিদ্যমান। ব্রিটিশ শাসনে এ দেশের বহু কল্যাণ সাধিত হইযাছে বলিযা ব্রিটিশ বাজের প্রতি ভক্তি আমাদের অধিক । আমায় সম্বন্ধে আমি বলিতেছি যে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্রিটিশ গবমেণ্টের নিকট হইতে যে সকল উপকার পাইযাছি সেজন্য তাহাদেব প্রতি আমার শ্রদ্ধাভুক্তি ও কৃতজ্ঞতা অত্যন্ত অধিক। আমাৰ পিতার মৃত্যুর পর ব্রিটিশ গবমেণ্ট আমাব ও আমার শিক্ষা প্রভৃতিব জন্য যেরূপ ক্লেশ স্বীকার করিযাছেন এবং আমার প্রতি যত্ন প্ৰদশন করিযাছেন তাহাতে আমি বিশেষভাবে তেঁহাদের নিকট কৃতজ্ঞ । আমি অপ্রাপ্তবযস্ক থাকিবার সমযে ময়ূরভঞ্জরাজ্যেবা শাসন-ভার ব্রিটিশ গবমেণ্ট স্বহস্তে গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । সেই সমযে তাহারা রাজ্যের কল্যাণকর যেসকল ব্যবস্থাদির। প্ৰবৰ্ত্তন করিযাছিলেন, সেই-- গুলিকে আদশ করিয়া আজ আমি রাজ্যের অধিকতব কল্যাণ সাধন করিতে সমর্থ হইতেছি। আরও, আমার রাজ্য-শাসনে উড়িষ্যার করদবাজ্যসমূহের সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট ও বাঙ্গালা গবমেণ্টের নিকট আমি প্ৰাব্যই মূল্যবান উপদেশ ও সাহায্য পাইয়াছি এবং এই উপদেশ ও সাহায্যই রাজ্যশাসনে সাফল্য-লাভের আংশিক হেতু । এই সকল কারণে আমার মনে মনে অভিলাষ ছিল যে, ছোটলাট বাহাদুরকে বারিপদাতে আমন্ত্রিত করিয়া লইযা আসিয়া সম্বৰ্দ্ধিত করিব এবং সম্রাটের প্রতিনিধি-হিসাবে তাহার নিকট সেই সময়ে প্ৰকাশ করিয়া বলিব-ব্রিটিশ গবমেণ্টের নিকট আমি কতদূর কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ। আমার সেই অভিলাষ আজ পূর্ণ হইল। আমি বাক্ষ্মী নহি, এমন কি সামান্য বক্ততাশক্তিও আমার নাই। সুতরাং আমার মনোভাব