পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব 8 ዓ· ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে বটে ; বিধাতার বিধানের উপর হাত নাই এবং তিনি যাহা করেন তাহা আমাদের মঙ্গলের জন্যই করেন । তঁহার সকল কাৰ্য্যেই তাহার মহিমা প্ৰকাশিত হইয়া থাকে। এইৰূপ ভগবদবিশ্বাস ছিল বলিয়া এত বড় শোকও তিনি জয় করিয়াছিলেন । এই ঘটনার আট মাস পরে ১৯০৬ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে নিখিল ভারত একেশ্বরবাদী সম্মেলনের অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতিরূপে তিনি যে অভিভাষণ পাঠ করিয়াছিলেন, তাহাতেও তিনি শ্ৰীভগবানের বিধানে পূর্ণ বিশ্বাস ও আশার বাণী শুনাই যাছিলেন । শোক-তাপ-গ্ৰস্ত মনুষ্যের কৰ্ণে শ্ৰীভগবানের আশা ও আশ্বাস-বাণী প্ৰবেশের কথা তিনি গভীর বিশ্বাসের সহিত ব্যক্ত করিয়াছিলেন। ইহা হইতে মহারাজার চরিত্রবলের সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় । শ্ৰীপদমঞ্জরীর স্মৃতিরক্ষার জন্য মহারাজা বারিপদ কুষ্ঠাশ্রমে একটি প্ৰস্তর-স্তম্ভের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। ১৯০৭ খৃষ্টাব্দের ১৮ই নভেম্বর তারিখে ভারত ও প্রাচ্যদেশসমূহের কুষ্ঠরোগীদিগের মিশনের অধ্যক্ষ মিষ্টার ডব্লিউ সি বেলির পত্নী ময়ুরভঞ্জ-পরিদর্শনে আগমন করেন ; সেই সময়ে তিনি এই প্ৰস্তর-স্তম্ভের আবরণ উন্মোচন করিযাছিলেন । শ্ৰীপদমঞ্জরীর পুণ্যস্মৃতি বারিপদার একটি রোগ-সেবা রূপ পুণ্য-প্ৰতিষ্ঠানের সহিত বিজড়িত রহিয়াছে বলিয়া বড়ই শোভন হইযাছে। কুষ্ঠাশ্ৰম এই প্রসঙ্গে বারিপদার কুষ্ঠাশ্রমের বিষয় উল্লেখ করা যাইতেছে। ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে এই আশ্রম প্ৰতিষ্ঠিত হয়। সেই সময়ে কয়েকটা খড়ের চালা ঘর মাত্র ইহার সম্বল ছিল । উহাতেই মিস জে-৬এম গিলবার্ট কুষ্ঠরোগীদিগকে রাখিয়া তাহদের সেবা-শুশ্রুষা ও চিকিৎসা করিতেন। তার পর ১৯০৭ সালে মহারাজা কুষ্ঠাশ্রমের জন্য বারিপদ হইতে প্ৰায়