পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኁ8ኴ” zen-of-sists এক ক্রোশ দূরে আলোক ও বায়ুচলাচল-বিশিষ্ট ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহ নিৰ্ম্মাণ করাইযা দেন। কুণ্ঠরোগীরা তথায় পূৰ্ব্বাপেক্ষা স্বচ্ছন্দে অবস্থান করিতে থাকে এবং শুশ্রুষার ব্যবস্থাও পূর্বাপেক্ষা উন্নত হয। আশ্রমের প্ৰতিষ্ঠাকাল হইতেই উহা আশ্রমের অনারারী সেক্রেটারী মিসেস কিডেলের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ছিল। তিনি এই কুষ্ঠাশ্রমের প্রাণস্বৰূপিণী ছিলেন। এক্ষণে বারিপদার কুইন্সল্যাণ্ড মিশনের মিস এল্যানবী এই কুষ্ঠাশ্রমের পরিচালনভার গ্ৰহণ করিয়াছেন। বন্যায়, দুভিক্ষে, মহামারীতে যখনই উড়িষ্যাবাসিগণ বিপন্ন হইয়া থাকে, তখনই এই করুণহৃদয়া মহিলা ককণার প্রতিমূৰ্ত্তিারূপে তাহাদিগের সেবায় ব্ৰতী হয়েন। শাসন-ক্ষমতা বৃদ্ধি ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্র রাজ্যশাসনের ভার গ্ৰহণ করেন ; সেই সমযে তাহার ক্ষমতা সঙ্কীর্ণ ছিল । সেই সমযে একজন করদ রাজা শাসন-ব্যাপারে কতটুকু, ক্ষমতার অধিকারী হইতে পারেন তাহার কোনও নির্দেশ ছিল না । গবমেণ্টের নিকট প্ৰত্যেক কারদরাজার ক্ষমতা নির্দিষ্ট করিয়া দিবার জন্য আবেদন করা হয । ফলে প্ৰত্যেক কারদ-রাজ্যের ক্ষমতা নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া হয় এবং ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দের প্রদত্ত সনদে তাহা স্পষ্ট করিয়া লিখিয়া দেওয়াও হয। মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্রের উপর পূর্বে যে ক্ষমতা অৰ্পিত ছিল তিনি তাহা অভিজ্ঞতার সহিত পরিচালনা করিয়াছিলেন এবং আইনে ও আইন-প্ৰয়োগেও তিনি যোগ্যতার পরিচয় দিয়াছিলেন বলিয়া গবমেণ্ট তাহার ক্ষমতা বদ্ধিত করিয়া দেন এবং ফলে তিনি ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে দায়র-জজের ক্ষমতা লাভ করেন । ইহাতে মহারাজা স্বয়ং সন্তুষ্ট হয়েন এবং তঁাহার। প্ৰজাগণও সন্তোষ লাভ করে। গবমেন্টের অনুমোদনক্রমে এই ক্ষমতা ময়ূরভঞ্জ --রাজ্যের রাজকীয় বিচারপতি শ্ৰীযুত হরিদাস বসু, বি-এল মহাশয়ের