পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6t R ংশ-পরিচয় আমরা-ইণ্ডো-জাপানিজ এসোসিয়েসনের প্রেসিডেন্ট ও সদস্য বর্গ এই উদীয়মান সুৰ্য্যের দেশে আপনাকে অভ্যর্থনা করিবার সুযোগলাভ করিয়া আপনাদিগকে সম্মানিত মনে করিতেছি । আপনি আপনার প্ৰজাগণের কল্যাণ সাধনের জন্য অকপট চেষ্টা করিয়া থাকেন-ইহা আমরা উপলব্ধি করিতেছি এবং আপনার সহানুভূতিপূর্ণ সুশাসনের জন্য আপনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করিতেছি । উড়িষ্যা গড়াজাত মহালের একজন নৃপতি এই প্ৰথম আমাদের এখানে পদাৰ্পণ করিয়া আমাদিগকে সম্মানিত করিলেন । আমরা সর্বান্তিঃকরণে আশা করি, এই পরিদর্শনের ফলে আমাদের ও আপনার প্রজাবৃন্দের পরস্পরের কল্যাণ হইবে। সামন্তরাজবৰ্গ যদি প্ৰতি বর্ষে এইভাবে এদেশে আগমন করেন, তাহা হইলে ভারত ও জাপান প্ৰকৃত সৌহার্দ্যবন্ধনে আবদ্ধ হইবে । আপনার জাপান-ভ্ৰমণ সুখময় ও সাফল্যমণ্ডিত হউক এবং স্বদেশে প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়া। আপনি দীর্ঘজীবন সানন্দে ভোগ করিতে থাকুন। ( স্বাক্ষর ) শিজেনোবু ওকুমা প্রেসিডেণ্ট এবং সদস্যবর্গ ইণ্ডো-জাপানিজ এসোসিয়েসন । টোকিও, ২৪শে জুন, ১৯১০ ৷” তৎপরে এই মানপত্ৰখানি একটি রৌপ্যাধারে করিয়া মহারাজাকে উপহার দেওয়া হয় । এই মানপত্রের উত্তরে মহারাজা বলেন, -- “জাপানের নিকট ভারতের অনেক বিষয় শিখিবার আছে। আমি উড়িষ্যার প্রত্যেক রাজাকে জাপান পরিদর্শন করিতে বলি। আমি এই সুন্দর দেশ পরিদর্শন করিয়া পরম পরিতুষ্ট হইয়াছি এবং এখানকার