পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ब९श्व->iद्भिbझ বৈকালে ডাক্তার আইচকে সঙ্গে লইয়া তিনি কিয়োটো যাত্ৰা করেন । তৎপরে কিযেটা, নারা, ওসাকা, নাগোয় পরিদর্শন করিয়া ইয়োকোহামা যাত্ৰা করেন এবং ৪ঠা জুলাই তথায় উপস্থিত হন। আমেরিকা ও ইংলণ্ড-যাত্ৰা এইখানে মহারাজের জাপান-ভ্ৰমণ শেষ হয়। জাপান পরিদর্শন করিযী মহারাজ যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও আনন্দ লাভ করেন । অতঃপর তিনি ‘মরেটেনিয়া” নামক জাহাজে আমেরিকা যাত্রা করেন। ডাক্তার আইচ। এইখান হইতে মহারাজার নিকটে বিদ্যান্য গ্ৰহণ করেন ও বারিপদা-অভিমুখে রওনা হয়েন। মহারাজা স্বহস্তে-লিখিত পত্রে জাপান হইতে আমেরিকা-যাত্রার বিবরণ এই মৰ্ম্মে লিখিয়াছেন :- “জাপান হইতে আমেরিক যাইবার পথে কোনও প্রকার উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে নাই। প্ৰশান্ত মহাসাগর পার হইবার সময়ে উহা খুব ঠাণ্ড ছিল ; তরঙ্গভঙ্গ ছিল না বলিলেই হয়। প্ৰশান্ত মহাসাগরের মধ্যস্থলে অত্যন্ত শীত পড়িয়াছিল ; কারণ আমরা উত্তর দিকে যাইতেছিলাম । ভাস্কুবারে পোর্ট মেডিক্যাল অফিসার অর্থাৎ বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাক্তার মনরো আমাকে সাদরে গ্ৰহণ করেন। আমি লাগান ও বানফে এবং উইনিপোগে অবতরণ করিযাছিলাম। তথা হইতে সুবৃহৎ হ্রদসমূহের উপর দিয়া টোরোণ্টে যাত্ৰা করি। অতঃপর নায়েগ্ৰা জলপ্রপাত পার হইয়া নদীপথে সেণ্ট লরেন্স হইতে মনটিল ও কুইবেকে গমন করি । আমি আমেরিকার উপর দিয়া অত্যন্ত দ্রুতই গমন করিয়াছিলাম। এবং তথাকার দীর্ঘ ষ্টীমার ও রেল-যাত্ৰা কতকটা ক্লান্তিকরই হইয়া পড়িয়াছিল। কিন্তু তথাকার অধিবাসীদের নিকট সদয় ও শিষ্ট ব্যবহার পাইয়াছিলাম। নিউ ইয়র্কে আমি প্ৰায় ৯দিন ছিলাম। চারি দিন আমি মিষ্টার ও মিসেস পেরিনের অতিথি হইয়াছিলাম । ইহারা আমাকে