পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজ। শ্ৰীীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব GRC নিউ ইয়র্কের বহু খ্যাতনামা ব্যক্তির সহিত পরিচয় করিয়া দিয়াছিলেন । আমি এই সময়ে বেথলেহেমের লোহার কারখানা ও সেনেকট্যাডির বৈদ্যুতিক কারখানা দেখিবার সুযোগ প্ৰাপ্ত হইয়াছিলাম। নিউ ইয়র্ক হইতে আমি “লুসিটেনিয়া” নামক জাহাজে আটলান্টিক পার হইয ইংলণ্ডে পৌছি । আটলান্টিক মহাসাগর প্রশান্ত মহাসমুদ্র অপেক্ষাও শান্ত ছিল । ১৯১০ খৃষ্টাব্দের ২২শে আগষ্ট আমি লণ্ডন সহরে উপনীত ठ्छे ।” যে সময়ে মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ জাপান যাত্রা করেন। সেই সমযে মহারাণী ও তদীয় ভগিনী—কুচবিহারের মহারাণীর সহিত ইংলণ্ড যাত্ৰা করিযাছিলেন । লণ্ডন সহরে মহারাজা মহারাণীর সহিত সম্মিলিত হাঁ যেন | মহারাজা তাহার পত্রে আরও লিখিয়াছেন-‘ইংলণ্ডের জলবায়ু খুব ভাল ; সেপ্টেম্বর মাসে দাৰ্জিলিঙ্গের জলবায়ুর মত। খুব বৃষ্টি হয় এবং আকাশ প্ৰায় সর্বদাই মেঘাচ্ছন্ন থাকে । “আমি লণ্ডন হইতে প্ৰায় ১২ মাইল দূরে একটী কোলাহলশূন্য স্থানে বিশ্রাম করিতেছি । ২৪শে তারিখে আমি ইণ্ডিয়া আফিসে গিয পোলিটিক্যাল সেক্রেটারী মিষ্টার হাটজেনের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলাম। আমি পুনরায় কল্য তথায় যাইব ও তথাকার উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারিগণের সহিত দেখাশুনা করিব । লণ্ডন হইতে চলিযা আসিবার পূর্বে আমি লর্ড মলি এবং ভারত-সম্রাট ও সমাজ্ঞীর সাক্ষাৎকারলাভের আশা করিতেছি । “আমরা সকলেই বেশ ভাল আছি। ভৃত্যগণ বাড়ীতে যেমন থাকে তেমনই স্বচ্ছন্দে আছে। চাউল, ডাইল, মসলা এবং ভারতের ব্যবহৃত অন্যান্য দ্রব্য এখানে সবই পাওয়া যায় ! এমন কি, খোজ করিলে