পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব Vy ময়ূরভঞ্জে প্রত্যাবর্তন ও দুর্ঘটনায় মৃত্যু এই উৎসবের পর মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্র ময়ূরভঞ্জে প্ৰত্যাগমন করেন। এবং রাজধানী বারিপদায় উপস্থিত হইয়া রাজকাৰ্য্যে মনোযোগী হয়েন । দুই বৎসর ধরিয়া তিনি শাসনকাৰ্য্যে যে সকল নূতন ব্যবস্থা প্ৰবৰ্ত্তন করিবার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। সেইগুলি কাৰ্য্যে পরিণত করিবার জন্য উদ্যোগ-আয়োজন করিতে থাকেন । এইসকল সঙ্কল্পিত ব্যবস্থার মধ্যে ময়ুরভঞ্জ ষ্টেট রেলপথ-বৃদ্ধিসাধন অন্যতম ছিল। এই রেলপথকে তিনি রাজ্যের মধ্যস্থ অরণ্যের ভিতর পর্য্যন্ত বিস্তৃত করিতে অভিলাষী হয়েন । এই উদ্দেশ্যে তিনি বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীকে নিমন্ত্রণ করেন । যেসকল স্থানের উপর দিয়া রেলপথ যাইবে সেইগুলি তাহাদিগকে দেখাইয়া দেওয়াও তাহার অভিপ্ৰায় ছিল। ৩০শে জানুয়ারী তারিখে ইহার রাজপরিবারের কতিপয় ব্যক্তির সহিত শিকার করিতে গমন করেন । কিন্তু কোনও জন্তু শিকারের জন্য পায়েন নাই। সেইজন্য পরদিন মহারাজা ইহাদের সঙ্গে শিকারে গমন করেন এবং তঁহাদিগকে প্ৰতিশ্রুতি দেন যে, ভাল শিকার নিশ্চয়ই পাওয়া যাইবে । বারিপদার নিকটে-কৃষ্ণচন্দ্রপুর ষ্টেশন হইতে প্ৰায় দেড় ক্রোশ দূরে একটি জঙ্গলে শিকারের জন্য “বীট’ দেওয়া হয়। একটি ভালুক মারা হয় এবং আর একটি ভালুক বন্দুকের গুলিতে আহত হইয়া পলাইয়াছে বলিয়া মনে করা হয় । ‘বীট" তখনও শেষ হয় নাই ; কিন্তু ‘নিয়তি কেন বাধ্যতে” ! বীট’ শেষ না হইলে মাচান হইতে নামিতে নাই-ইহাই শিকারের নিয়ম । কিন্তু মহারাজা র্তাহার বিশ্বাসভাজন অনুচর রাধু মহাপাত্রের পুনঃ পুনঃ নিষেধ সত্ত্বেও মাচান হইতে নামিয়া পড়েন। রাধু বার বার বলিয়াছিল-মহারাজা আচান হইতে নামিবেন না ; আগে বীটওয়ালার ফিরিয়া আসুক,