পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VeR বংশ-পরিচয় তার পর নামিবেন ! কিন্তু মহারাজা তাহার কথা শুনিলেন না, মাচান হইতে নামিয়া পড়িলেন। বিশ্বাসভাজন অনুচরও তখন মহারাজার সহিত মাচান হইতে নামিয়া পড়িয়া তাহার অনুগমন করিল মহারাজার পরিধানে কৃষ্ণবর্ণ পরিচ্ছদ ছিল। পরবত্তী মাচানের উপর যে শিকারী ছিলেন, তিনি অস্পষ্ট আলোকে মহারাজকে আহত ভলুক মনে করিয়া গুলি ছুড়িলেন। গুলি রাধুর হাঁটুতে বিদ্ধ হইল এবং সে “প্ৰাণ গেল” বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল। মহারাজা ব্যাপার কি ঘটিয়াছে তাহা জানিবার পূর্বেই অরে একটি গুলি নিকটবৰ্ত্তী বৃক্ষে আসিয়া লাগিল এবং গুলির ভিতরকার স্পিলিণ্টার গুলি মহারাজার দুই হাতে ও বুকে প্ৰবেশ করিল। মুহূৰ্ত্তকাল তিনি এই আঘাতে নিৰ্বাক হইয়া পড়িয়াছিলেন। পরে যখন রাধুর ক্ৰন্দনে অন্যান্য শিকারীগণ দ্রুতগতিতে অকুস্থলে উপস্থিত হইলেন, তখন তঁাহারা ব্যাপার কি বুঝিতে পারিয়া তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকিবার জন্য লোক পাঠাইলেন। কিন্তু মহারাজার হৃদয় এরূপ সমুন্নত ছিল যে, তিনি সকলকে বলিতে লাগিলেন-আপনার আমার কাছেই সকলে রহিয়াছেন কেন ? বেচারী রাধুকে আগে দেখুন। মহারাজা তখন নিজেই যন্ত্রণায় অস্থির ; এমন অবস্থায়ও তিনি অপরের ষন্ত্রণা-নিবারণের জন্য ব্যস্ত ! শ্ৰীযুক্ত শৈলেন্দ্ৰনাথ সরকার মহাশয় সেই সময়ে বারিপদাতে ছিলেন । এই দুর্ঘটনার সংবাদ তথায় পৌছিলে কিরূপ ব্যাপার ঘটিয়াছিল তাহা তিনি নিম্নরূপ বর্ণনা করিয়াছেন ঃ “আমরা বৈকাল বেলা ডাক্তার আইচের নিকট বসিয়াছিলাম । সেই সময় একটা মোটরগাড়ী দ্রুতবেগে আসিয়া ডাক্তার আইচের গৃহদ্বারে দাড়াইল। গাড়ীতে ছিলেন-লালসাহেব গিরিশচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব। তিনি যেন পাগলের মত আসিয়া এই দুর্ঘটনার সংবাদ আমাদিগকে জানাইলেন এবং সেই মোটরগাড়ীতেই ডাক্তারকে লইয়া দ্রুতবেগে