পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব NgN), ঘটনাস্থলে ছুটলেন । শীঘ্রই এই দুৰ্ঘটনার সংবাদ দাবানলের মত চারিদিকে ব্যাপ্ত হইল এবং শঙ্কা ও উদ্বেগে লোকে চঞ্চল হইয়া উঠিল। তখনই প্ৰকৃত সংবাদ জানিবার জন্য সকল শ্রেণীর লোক দলে দলে ষ্টেশনের দিকে ছুটিল । এমন কি, স্ত্রীলোক ও বালক-বালিকাও একে অপরের বাড়ীতে ছুটিল অথবা দেওয়ানের বাটীতে উপস্থিত হইলসকলেই মহারাজের সংবাদ লইবার জন্য উৎকষ্ঠিত ৷ প্ৰায় এক ঘণ্টা কাল লোকে এইরূপ উদ্বেগে ও উৎকণ্ঠায্য কাটাইয়াছিল । তার পর দেওয়ান মহাশয মোটর গাড়ীতে করিয ফিরিয়া আসিযা জানাইলেন যে, মহারাজা ভাল আছেন এবং একটী গাড়ী করিয়া বেলগাডিয়া প্ৰাসাদে আসিতেছেন । ইহাতে লোকের আতঙ্ক ও উদ্বেগ তখনকার মত কতকটা দূর হইল বটে, কিন্তু সেই রাত্ৰি কাহারও শান্তিতে কাটে নাই। সেই দিনই সন্ধ্যার সময়ে বালেশ্বরের সিভিল সার্জনকে স্পেশ্যাল ট্রেণযোগে আনা হইল এবং পরদিন প্ৰাতঃকালে ময়ূরভঞ্জের অধিবাসীরা শুনি যা আশ্বস্ত হইল যে, মহারাজার আঘাত একেবারেই গুরুতর নহে । তাহার অনুচরকে বারিপদ হাসপাতালে। আনয়ন করা হইয়াছিল, কিন্তু পরদিন প্ৰাতেই তাহার মৃত্যু হয়। মহারাজা ক্ৰমেই সুস্থ হইয়া উঠিতে লাগিলেন । ইহার পরে তাহার জীবনের কোনও প্ৰকার আশঙ্কা ঘটিতে পারে এরূপ সন্দেহও তখন কাহারও মনে হয় নাই।” সুস্থ হইয়া কিছুদিন পরে মহারাজা কলিকাতায় আগমন করিলেন। চিকিৎসা করা শুর্তাহারা মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না ; নব-গঠিত বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের গবর্ণরের গ্রীষ্মাবাস তাহার রাজ্যবিত্তী মেঘাশনি পাহাড়ে করিবার ও তথায় উড়িষ্যার জন্য স্বাস্থাবাস স্থাপন করিবার প্রস্তাবিসম্পর্কে জনৈক উচ্চপদস্থ রাজপুরুষকে আমন্ত্রিত করিয়া ময়ূরভঞ্জে লইয়া যাওয়াই তাহার প্রধান অভিপ্ৰায় ছিল । শেষোক্ত উদ্দেশ্যেই তিনি কলিকাতায় আসিয়াছিলেন । কলিকাতা সহরে “এক্সরে” পরীক্ষায়