পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব وا ফৌজদারী ব্যবস্থা উন্নত করিবার জন্য পুলিশ-বিভাগের সংস্কার করা হয় এবং এই বিভাগের কৰ্ত্ত হয়েন মিষ্টার কিডেল । পুর্বে চৌকীদার ছিল, কিন্তু রাজকোষ হইতে উহার বেতন পাইত না । লোক যখন খুসী। উহাদিগকে চান্দা করিয়া বেতন দিত। উহারা নিয়মিত কাজও কিরিত না। কিন্তু মহারাজা চৌকীদারী টেক্সের প্রবর্তন করিয়া উহুদিগের যথাসময়ে বেতন দিবার ব্যবস্থা করেন এবং উহারাও দায়িত্ব লইয়া কাৰ্য্য করিতে থাকে । ১৯১০-১১ সালে রাজ্যে ১৩টি থানা ও ১০টা ফাড়ি ছিল এবং পুলিসের সংখ্যা ছিল ( চৌকীদার বাদে ) ৬৫ অফিসার ও ২৭২ প্রহরী ইত্যাদি । * ১৮৯৪-৯৫ খৃষ্টাব্দে পেন্সন বা কাৰ্য্যান্তে অবসর-গ্রহণের পর রাজকীয় কৰ্ম্মচারীদিগকে বৃত্তি দিবার ব্যবস্থা প্ৰবৰ্ত্তিত হয় । ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে মহারাজা তাহার সমুদয় প্ৰজাকে জমির স্বত্বাধিকার প্ৰদান করেন । ইহাতে জমির উপর প্রজার মমতা বৃদ্ধি পায় । কারণ, কেহ ইহা কাড়িয়া লইতে পরিবে না। অর্থাভাবে এই জমি বিক্রয় করিতে পারিবারও ক্ষমতা তাহার হয় । এইজন্য জমিতে উত্তমরূপে চাষ-আবাদ হইতে আরম্ভ হয় । ফলে ইহার দ্বারা রাজ্যের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। জমির খাজনা ১০, ১৫, ২০ বৎসরের জন্য খুব কম করিয়া নিদ্ধারিত হয়-এই সময়ের মধ্যে উহার বৃদ্ধি হইতে পারিত না। নির্দিষ্ট সময় অন্তে পরবর্তী বৃদ্ধির সময়েও খাজনার হার অল্পই বদ্ধিত হইত। আবওয়াব ও অন্য প্রকার জুলুম করিয়া প্রজাদের নিকট হইতে টাকা আদায়ের প্রথা বন্ধ করিয়া দেওয়া হয় । মোটের উপর মহারাজার ২০ বৎসর-ব্যাপী শাসনকালে রাজ্যের প্রভূত উন্নতি সাধিত হইয়াছিল। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্র ডেপুটী কনজারভেটর অফ ফরেষ্ট মিষ্টার সি সি হাটকে গবর্মোেণ্টর অনুমতিক্রমে ময়ুরভঞ্জের অরণ্যবিভাগের কৰ্ত্তা নিযুক্ত করেন। ইতিপূর্বে ময়ূরভঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে