পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ኃኒዎ বংশ-পরিচয় সুগঠিত বন-বিভাগের অস্তিত্ব ছিল না। মিষ্টার হাটের নিয়োগের পূর্বে বন হইতে ময়ুরভঞ্জ সরকারের আয় হইত বাৰ্ষিক মাত্র ৩০ হাজার টাকা। শ্ৰীরামচন্দ্রের শাসনকালের শেষ ভাগে উহা বাৰ্ষিক আড়াই লক্ষ টাকায় উঠিয়াছিল । ১৯০৩ খৃষ্টাব্দে মহারাজা রাজ্যের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য মিষ্টার পি-এন বসু, বি-এস-সি, এফ-জি-এসকে নিযুক্ত করেন। তাহার উদ্দেশ্য ছিল-খনিজ সম্পদে রাজ্যের আয় বৃদ্ধি করা । মিষ্টার পি-এন বসু অনুসন্ধান করিয়া লৌহের খনির অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। তিনি বলেন, - অপরিস্কৃত অবস্থায় যে লৌহ আছে তাহা একরূপ অফুরন্ত এবং তাহা অতি উৎকৃষ্টজাতীয। এই সংবাদ যখন চারিদিকে বিস্তৃত হইয়া পডিল, সেই সমযে মেসাস টাটা এণ্ড সন্স যে অঞ্চলে লীেহের খনি আছে তাহা ইজারা লয়েন এবং ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে তাহারা গুরুমহিষাণী ও সুলাইপেট পাহাড়ে যে লৌহ আছে তাহ তুলিয়া তাহার পরীক্ষা আরম্ভ করেন । ঐ বৎসরই আমেরিকার খনিসংক্রান্ত বিশেষবিৎ মিষ্টার পেরিন ও মিষ্টার অয়েল্ড ঐ লৌহ পরীক্ষা করিয়া বলেন,-“সমগ্ৰ এসিয়া খণ্ডে এত উৎকৃষ্ট লৌহ আর নাই। অতঃপর ১৯০৮ খৃষ্টাব্দে মেসাস টাটা এণ্ড সন্সই একটী যৌথ কোম্পানীর পত্তন করেন, উহাই এক্ষণে টাটা আয়রণ এণ্ড ষ্টীল কোম্পানী লিমিটেড নামে বিখ্যাত। ১৯১১ খৃষ্টাব্দ হইতে এই কোম্পানী পূর্ণ উদ্যমে কাৰ্য্যারম্ভ করেন । এহ্মণে সমগ্ৰ ভারতে এই কোম্পানীর লোহার কারখানার মত বড় কারখানা আর নাই। এই কারখানায় যত লোহা লাগে। সে সমস্তই ময়ূরভঞ্জের খনি হইতে সরবরাহ হইয়া থাকে। মহারাজা শ্ৰীীরামর্ট জর চেষ্টায় ও উদ্যোগেই আজ হই। সম্ভব হইয়াছে এবং ইহা দ্বারা প্রাজ্যের আয়ও যথেষ্ট বৃদ্ধি পাইয়াছে। রাজ্যে যে গোপ-ষ্টোন (soap-stone) ও পাথরের দ্রব্যাদি।