পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গীয় মহারাজা শ্ৰীীরামচন্দ্ৰ ভঞ্জদেব ዓፃ সাধুকৰ্য্যের প্রতি তাহার সহানুভূতি-এই তিনগুণে তিনি সকল সম্প্রদায়ের লোকের শ্ৰীতিভাজন ছিলেন ।” মহারাজা শ্ৰীীরামচন্দ্রের অসামান্য সংযম ছিল । তিনি ক্ৰোধকে জয় করিয়াছিলেন । দেওয়ান বলিতেন -“আমি তাহাকে ২৪ বৎসর জানি, কিন্তু কখনও তঁহাকে রাগিতে দেখি নাই।” একবার মহারাজার সেক্রেটারী বাবু ননীমাধব মুখোপাধ্যায় মহাশয় দেখেন যে, মহারাজা নিজেই তাহার ব্যাগটি হাতে করিয়া লইয়া যাইতেছেন। কয়েক হাত পিছনেই মহারাজার ভৃত্য রাধু চলিয়াছে। ইহাতে ননীমাধববাবু রাধুকে কৰ্ত্তব্যচ্যুতির জন্য তিরস্কার করেন এবং বলেন, কৰ্ত্তব্যে অবহেলা করিলে মহারাজা রাগ করিবেন । রাধু তাহ শুনিয়া বলে-“মহারাজা কখনও আমাদিগকে বকেন না বা আমাদের উপর রাগ করেন না। রাত্রিতে যদি আমি ঘুমাইয়া পড়ি এবং যদি তাহার। আমাকে তখন দরকার হয়, তাহা হইলে তিনি খুব আস্তে আমার গা ছুইয়া আমাকে ডাকেন, অথবা আমাকে একেবারেই ডাকেন না ।” মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ মোটেই বিলাসী ছিলেন না । তঁহার আত্মত্যাগও ছিল অসাধারণ । দেওয়ান মহোদয় মহারাজের স্মৃতি-সভায় বক্তৃতাSBBBB BBSYSLSLBBtBD DDDB BBDD DBDBD S DDDS SDD S SDBDDS বায়ুচলাচল-বিশিষ্ট প্রকোষ্ঠে দিনরাত্রি যাপন করিতেন। ইহাই তাহার শয়ন-গৃহ ছিল। ঘরটি আবার কাগজ দিয়া ভাগ করা ছিল। মহারাজা কয়েক বৎসর ধরিয়াই মনে করিতেন এবং বলিতেন--আর চলে না, আমার নিজের জন্য একটী বাড়ী তৈয়ারী কিরিব। কিন্তু প্ৰতি বৎসর বাজেট তৈয়ারীর সময়ে তিনি বলিতেন- থাক এ বৎসর, পরে দেখা যাইবে। আত্মসুখের জন্য সরকারী কাজ বন্ধ করা যাইতে পারে না । মহারাজা খুবই ধনী ছিলেন ; কিন্তু তথাপি তিনি সহজ, সরল ও অনাড়ম্বর ভাবেই চলিতেন। একরূপ সন্ন্যাসীর মতই তিনি থাকিতেন। সাদা